‘ড্রিমলাইনার ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি’
বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকারের অন্যতম ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। ইন্টারনেট বিপ্লব ও নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ইতোমধ্যে সরকারের নানা উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। এবার আকাশপথেও ডিজিটাল স্বপ্নবিলাসও পূরণ হয়েছে। আধুনিক মডেলের নতুন উড়োজাহাজ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ বিমান। অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারে ভ্রমণকালে পৃথিবী থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে না যাত্রীরা। প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলা ছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সারতে পারবেন সব দাফতরিক কাজ।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধার সঙ্গে বিমানটিতে থাকবে ইন্টারনেট ও ফোনে কথা বলার সুযোগ। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। বিমানে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রী ১৫ মিনিটের জন্য বিনামূল্যে ১০ মেগাবাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এরপর কোনো যাত্রী ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে চার্জ দিতে হবে। ১০০ মেগাবাইটের জন্য ৮ ডলার, ৩০০ মেগাবাইটের ১৬ ডলার আর ৬০০ মেগাবাইটের জন্য ৩২ ডলার হারে চার্জ দিতে হবে যাত্রীদের।
বিমান পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল ইনামুল বারী (অব.) বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সংবলিত সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তার পছন্দে এর নামকরণ হয়েছে ‘আকাশবীণা’। আরও তিনটি ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হবে।
তিনি বলেন, ড্রিমলাইনারগুলো বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশেরও একটা প্রতিচ্ছবি হবে। যাত্রীরা বিমানে বসেই অনেক বাণিজ্যিক বা দাফতরিক কাজ সেরে ফেলতে পারবেন।
বিমানের মুখপাত্র শাকিল মেরাজ বলেন, আকাশপথে এমন স্বপ্নবিলাস সার্থক করতে আধুনিক মডেলের নতুন উড়োজাহাজ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ বিমান। সরকারের আন্তরিকতা না থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে উড়োজাহাজ আনা সম্ভব হতো না। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের একটি সিড়ি হিসেবে কাজ করবে।
রোববার বিজি-২৮০১ ফ্লাইটটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল পেনফিল্ড থেকে কোনো যাত্রাবিরতি ছাড়াই টানা সাড়ে ১৪ ঘণ্টা উড়ে ঢাকায় আসে।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি বিমান। বাকি চারটি বিমান হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি রোববার বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি তিনটির একটি এ বছর নভেম্বরে এবং সর্বশেষ দুটি আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে বহরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরএম/এমবিআর/পিআর