বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসিতে কাজ করবে সাড়ে ৯ হাজার কর্মী
কোরবানির বর্জ্য অপসারণের বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীর অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে নিয়োজিত করেছে।
সোমবার গুলশানে ডিএনসিসি কার্যালয়ে আয়োজিত কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা ও আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেসবাহুল ইসলাম, স্থপতি ইকবাল হাবিব, বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ বিভাগীয় প্রধানরা।
সংবাদ সম্মেলন জানানো হয়, ঢাকা মহানগরে বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ে সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য অপসারণ একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবুও ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় আনুমানিক ২ লাখ ৩২ হাজার পশু কোরবানি দেয়া হবে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১১ হাজার বেশি। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ডিএনসিসি এ বছর ৫৪৯টি স্থান নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ১৮৩ স্থানে নগরবাসীকে কোরবানি দেয়ার জন্য প্যান্ডেলসহ বিভিন্ন সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া কোরবানি করা যাবে এরকম ৩৫৬টি স্থান চিহ্নিত করা আছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আঞ্চলিক কার্যালয়, অঞ্চল-৩ (মহাখালী) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর ৯৮৩০৯৩৬। তাছাড়া ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিস কন্ট্রোল রুম হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এছাড়া দ্রুত বর্জ্য অপসারণ ও এ সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম ছাড়াও নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
অঞ্চল-১ (উত্তরা) ০১৭১৭১০২০২৫; অঞ্চল-২ (মিরপুর) ০১৭১১৩১৩২৮৯; অঞ্চল-৩ (মহাখালী) ০১৯২৩১১৩৬৩৬; অঞ্চল-৪ (মিরপুর) ০১৭৩৩৮৯৫৫৩২ এবং অঞ্চল-৫ (কারওয়ানবাজার) ০১৭১১৫৭৭৪৭৪।
এএস/এমএমজেড/এমএস