গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের মুক্তি দাবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের
কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার আন্দোলনকারী, সমর্থক ও নাগরিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে অভিযোগ করে তা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে লন্ডন ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
গত শুক্রবার সংস্থাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে প্রায় ১০০ জনকে আটক করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা সেখানে গণগ্রেফতারের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। এতে নাগরিক সমাজে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক ওমর ওয়ারেছ বলেন, বাংলাদেশের সরকারকে অবশ্যই এ অভিযান বন্ধ করতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মানবাধিকারচর্চার দায়ে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের সিংহভাগ আন্দোলনই ছিল শান্তিপূর্ণ। গুটিকয়েক মানুষ সহিংসতায় যুক্ত ছিল। এটি কোনো অজুহাত হতে পারে না। মানুষ আতঙ্ক নিয়ে বসবাস করছে।
অ্যামনেস্টি বলেছে, সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনের পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯৭ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৫ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে অন্তত ৫১টি মামলা হয়েছে। এমন একটি আইনে এসব মামলা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মূলনীতি ও মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এ সময় শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করলেও আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতা চালানোর দায়ে কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।
৫৭ ধারায় আইসিটি আইনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমদ ও ঢাকা ক্যাফের মালিক ফারিয়া মেহজাবিনকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে সংস্থাটি। ওই আইনকে অস্পষ্ট, ব্যাপক বিস্তৃত ও কঠোর বলে অভিহিত করেছে তারা।
এমবিআর/এমএস