ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

১১ সিটিতে কোরবানির নির্ধারিত স্থান ২৯৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৮

পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশের ১১ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানির জন্য দুই হাজার ৯৫৪ স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয়ে ঈদুল আজহার সময় নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনগুলোর কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

সভায় জানানো হয়, এসব স্থানে সাত লাখ ৬৭ হাজার ৯৩৭ পশু কোরবানি হতে পারে। এ ছাড়া এবার সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গরুর হাটের সংখ্যা ৯৪টি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, পশু কোরবানির জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬২০, ঢাকা উত্তরে ৫৪৩, রাজশাহীতে ২১০, চট্টগ্রামে ৩১৪, খুলনায় ১৬৩, বরিশালে ১৩৫, সিলেটে ৩৬, নারায়ণগঞ্জে ১৮৩, কুমিল্লায় ১৯০, রংপুরে ১১৭ ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৪৪৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘এরপরও অনেকে যদি সেই জায়গায় না আসে তাহলে...আমরা মেয়রদের অনুরোধ করব আপনারা যথেষ্টভাবে প্রচারণা চালাবেন। বলেন, নির্ধারিত স্থানে আসতেই হবে। খেলা স্থানে কোরবানি কোনভাবেই এনকারেজ করব না।’

তিনি বলেন, ‘তবে কেউ যদি নিজের জায়গায় কোরবানি করে তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে বর্জ্যটা পুঁতে পরিষ্কার করতে হবে। অনুরোধ করবো কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতার দিকটি সার্বিকভাবে যাতে তদারকি করা হয়। এটি যদি মানুষের অভ্যাসে পরিণত করা যায় তবে আর কষ্ট হবে না।’

‘আমাদের এমন কোনো আইন নেই যে খোলা জায়গায় কোরবানি করলে শাস্তির বিধান করা যাবে। আবার ধর্মীয় ব্যাপারে এসব করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।’

নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অনেক সুষ্ঠুভাবে করা যায়। বর্জ্য চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে না বলেও জানান মন্ত্রী।

গত ২-৩ বছরে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক উন্নতি হয়েছে দাবি করে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আগে যেমন কোনবানির পর ৮-১০ দিন এলাকায় থাকাই যেত না। এখন তো অনেক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা হচ্ছে। তবু আমরা চাই এটা নিয়ে কোনো ধরনের কথা না হোক। যাতে কেউ না বলতে পারে কোরবানিকে সামনে রেখে সিটি কর্পোরেশন তাদের যথার্থ প্রস্তুতি নেয়নি।’

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও কোরবানির স্থান নির্ধারণের প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে। বাস্তবতা হচ্ছে, বিগত বছরগুলোতে নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করার ক্ষেত্রে যেভাবে সাড়া পাওয়ার কথা ছিল সেই পরিমাণে সাড়া পাইনি।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে গত বছর বর্জ্য অপসারণের সময় বেধে দেয়া হয়। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবারও সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। ঘোষিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার করব।

‘কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য নাগরিকদের বাড়িতে আমরা ব্লিচিং পাউডার পৌঁছে দেব। বর্জ্য ব্যাগে ভরে কন্টেইনারে ফেলতে হবে, সেই ব্যাগটাও শুক্রবার থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে’ বলেন সাঈদ খোকন।

কোরবানির দিন বৃষ্টি হলে বৃষ্টির পানির মধ্যে পশু কোরবানি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র।

নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হলেও গত বছর আমরা তেমন সাড়া পাইনি। আশা করি এবার সাড়া পাবো। নির্ধারিত স্থানে একসঙ্গে গরু জবাই করার ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কসাই পাওয়া যায় না, বিভিন্ন ধরনের সাপোর্টও আমরা ঠিকভাবে দিতে পারছি না। যেহেতু নতুন ব্যবস্থা সেজন্য এটি পুরোপুরি চালু করতে সময় লাগবে। পানির ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম (স্থানীয় সরকার বিভাগকে) আমাদের করে দিতে হবে।’

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান ও অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এএইচ/পিআর

আরও পড়ুন