বাংলাদেশি রাখালকে সীমান্তে দেখতে চায় না বিএসএফ
ভারতে গরু আনতে বাংলাদেশের রাখালদেরকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারতের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফ। বিজিবির পক্ষ থেকে এব্যাপারে বিএসএফকে আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। ভারতের গরুর বিকল্প ব্যবস্থা বাংলাদেশ নিয়েছে।
রোববার সকাল পৌনে ১১টায় বিজিবি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ।
এর আগে গত ৩-৭ আগস্ট নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বিজিবি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ২২ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী ডি কে পাঠকের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
সেখানে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সম্মেলনে গরু চোরাচালান, সীমান্ত হত্যাসহ মোট ৯টি বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, বিএসএফ আমাদের তো আর অফিসিয়ালি বলতে পারে না যে, বাংলাদেশে গরু বিক্রি করা হবে না। আমরাও বলতে পারি না আপনার সীমান্ত ছেড়ে দেন, বাংলাদেশে গরু আসুক। দেশটি বাংলাদেশে গরু রফতানি নিয়ে কঠোরতা অবলম্বন করছে। আমরাও বিকল্প ভাবছি।
বিএসএফ ডিজি শ্রী ডি কে পাঠক দাবি জানিয়েছে, সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু আনতে বাংলাদেশের কোনো রাখাল যেন অবৈধভাবে সীমান্ত পার না হয়। বিজিবি’র পক্ষ থেকে আমরাও জানিয়েছি, বাংলাদেশের কোনো রাখালকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে দেয়া হবে না। যদি কেউ যায় তাহলে বিএসএফ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি ডিজি বলেন, দেশে ২২ লাখ গরু কুরবানিতে জবাই হয়। ভারত সরকারের কঠোরতায় প্রাথমিকভাবে সমস্যা হলেও এবার তা হতে দেয়া হবে না। বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। দেশে গরু উৎপাদন করে এই সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নিয়েছে সরকার। আমরা আশা করছি ভারতের গরু ছাড়াই ঈদে কুরবানির গরুর সংকট হবে না।
তিনি বলেন, গরু আনতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে অনেক সময় সীমান্তে কিলিং হয়। আমরা চাই না বাংলাদেশি কোনো রাখাল অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করুক। তা বন্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
জেইউ/এআরএস/আরআইপি