ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা-উসকানির ঘটনায় ৫১ মামলা
রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কে দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের কর্তব্যে বাধা ও ভাঙচুরের মামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ছাত্রের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ (রোববার) পৃথক পাঁচটি থানার মামলায় এই ৩১ জনের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত।
রোববার সকালে এসব মামলায় তাদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। বাড্ডা ও ভাটারা থানার ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় ২২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া ধানমন্ডির থানার ভাঙচুর মামলায় আরও ৯ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
বাড্ডা থানার মামলার জামিন পাওয়া ১৪ ছাত্র হলেন- রিসালাতুল ফেরদৌস, রেদোয়ান আহমেদ, রাশেদুল ইসলাম, বায়েজিদ, মুশফিকুর রহমান, ইফতেখার আহম্মেদ, রেজা রিফাত আখলাক, এএইচএম খালিদ রেজা, তারিকুল ইসলাম, নূর মোহাম্মাদ, সীমান্ত সরকার, ইকতিদার হোসেন, জাহিদুল হক ও হাসান।
ভাটারা থানার মামলার জামিন পাওয়া ৮ ছাত্র হলেন- আজিজুল করিম, মাসাদ মরতুজা বিন আহাদ, ফয়েজ আহম্মেদ আদনান, সাবের আহম্মেদ, মেহেদী হাসান, শিহাব শাহরিয়ার, সাখাওয়াত হোসেন ও আমিনুল এহসান।
ধানমন্ডির পৃথক তিন মামলায় ৯ আসামি হলেন- মাসরিকুল আলম, তমাল সামাদ, ওমর সিয়াম, সোহাদ খান, মাহমুদুর রহমান, মিনহাজ রহমান, নাইমুর রহমান, মাহবুবুর রহমান ও ইকবাল হাসান।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা। ওই আন্দোলনের এক পর্যায়ে এতে জড়িয়ে পড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনায় গড়ে ওঠা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উসকানির প্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় মোট ৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষর্থী।
এআর/জেএইচ/জেআইএম