সিলেট বোর্ডে কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবারের উচ্চ মাধ্যামিক (এইচএসসি) পরীক্ষার পাসের হার ৭৪.৫৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ (এ প্লাস) এসেছে ১৩৫৬টি। বোর্ডে ছেলেদের পাসের হার ৭৩.৯৮ ও মেয়েদের পাসের হার ৭৫.০৭। গতবছর পাসের হার ছিলো ৭৯.১৬। জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ২০৭০ জন শিক্ষার্থী। রোববার দুপুরে এ ফলাফল জানান, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল মান্নান খান।
গতবারের চেয়ে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা দুটিই কমেছে। গত বছরের তুলনায় সিলেট বোর্ডে এবার পাশের হার কমেছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অন্যদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭১৪ জন।
বোর্ডের অধীনে ২৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৫৭ হাজার ৭০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৩ হাজার ২৮জন। এদের মধ্যে ছেলে ১৯ হাজার ৭২১ ও মেয়ে শিক্ষার্থী ২৩ হাজার ৩০৭ জন।
জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ১ হাজার ৩৫৬ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছেলে ৭৯৮ ও মেয়ে ৫৫৮ জন। এবার শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৩টি। আর কোনো প্রতিষ্ঠান পাস করেনি এমন সংখ্যা শূন্য।
গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ কম পাওয়া প্রসঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান খান বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষা নিয়ে থাকি। পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেই। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের। তারা ভালো না পড়ালে আমাদের এখানে কিছু করার নেই।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে পাসের হার ও জিপিও-৫ কমলেও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে তৃতীয়বারের মতো দেশ সেরা ফলাফল অর্জন করেছিলো সিলেট শিক্ষা বোর্ড। এর আগে ২০১০ ও ২০১২ সালেও পাসের হারে সিলেট শিক্ষাবোর্ড দেশ সেরা ফলাফল করেছিলো।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডে ২০১৩ সালে পাসের হার ছিলো ৭৯ দশমিক ১৩ ভাগ। ২০১২ সালে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৭ ভাগ। ২০১০ সালে এ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
ছামির মাহমুদ/এমজেড/আরআইপি