জরিমানার ৩০ শতাংশ চায় ট্রাফিক পুলিশ
রাজধানীতে বিভিন্ন অনিয়মে ট্রাফিক সার্জেন্ট কর্তৃক দেয়া মামলার আদায়কৃত জরিমানার ৩০ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশের নামে বরাদ্দ দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের বরাবর এক চিঠিতে এই সুপারিশ করেন।
চিঠির মূল অংশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশনের মাধ্যমে প্রতিমাসের আদায় করা জরিমানার ৩০ শতাংশ এই বিভাগে কর্মরত সদস্যদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।’
চিঠিতে কমিশনার আরও বলেন, ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও ট্রাফিক পুলিশকে তার দায়িত্ব পালন করে যেতে হয়। ঢাকা মহানগরীতে প্রতিনিয়ত গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, প্রতি দুই পালায় ডিউটি করতে হলেও বর্তমানে কিছু ক্ষেত্রে তিন পালায় ট্রাফিক পুলিশকে ডিউটি করতে হচ্ছে। তীব্র শব্দে সারাক্ষণ মানসিক চাপের মধ্যে দিনরাত কাজ করার কারণে এই বিভাগের সদস্যদের অনেকেই মানসিক বৈকল্য, বধিরতা, ক্যান্সার, যক্ষ্মা ও অপুষ্টিসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। প্রতিনিয়ত চিকিৎসা বাবদ তাদের আর্থিক খরচের ফলে চিকিৎসা ব্যয় মিটিয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও পারিবারিক প্রয়োজন মেটানো এই বিভাগের সদস্যদের জন্য অত্যন্ত দুরূহ।
এই শহরের প্রাত্যহিক যান চলাচল নিশ্চিত করা, ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ আইনের প্রয়োগসহ ভিভিআইপি গমনাগমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইভেন্ট আয়োজনে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশ আস্থার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের এই কর্ম তৎপরতা প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রশংসিত হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল কমিটি ফর ইন্টেলিজেন্স কোঅর্ডিনেশন (এনসিআইসি) সভায় ট্রাফিক বিভাগের সদস্যদের কাজে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে, এই বিভাগের মাধ্যমে আদায়কৃত মোট জরিমানার একটি অংশ প্রতিমাসে তাদের প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য যে, এই বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারের অন্য কোনও আর্থিক খাত হতে অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজন পড়বে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন কমিশনার।
গত ৭ দিনে সারা দেশে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৪টি মামলা দিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি জরিমানা করেছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯ হাজার ২২৩ টাকা।
এআর/জেএইচ/আরআইপি