আল্লাহর ঘরের মেহমানদের খেদমতে তিন শতাধিক বাংলাদেশি
পবিত্র মক্কা শরিফ প্রাঙ্গণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের খেদমত করতে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। বহুল আলোচিত ওসামা বিন লাদেনের প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানির হয়ে তারা কেউ ঝাড়ুদারের কাজ করছেন, কেউবা আবার মুসুল্লিদের জমজমের পানি খাওয়াচ্ছেন। মুসল্লিদের জন্য ওয়ান টাইম গ্লাসসহ 'কোল্ড' ও 'নট কোল্ড' এ দুই ধরনের পানি রাখা আছে।
আসন্ন পবিত্র হজ উপলক্ষে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির পদচারণায় কাবা শরিফের চৌহদ্দি এখন দিনরাত ২৪ঘণ্টা মুখরিত। মক্কার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ বাসে চেপে, কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে, আবার কেউবা পায়ে হেঁটেই আল্লাহর দরবারে ছুটে যাচ্ছেন।
তাপমাত্রা ৪১/৪২ ডিগ্রি হওয়ায় তীব্র গরমে কাবা ঘরের বাইরে গেলে গায়ে ফোস্কা পড়ার অবস্থা। এ অবস্থায় মুসুল্লিরা ২/১ দিনে হাপিয়ে গেলেও এই প্রচণ্ড গরমে দিনের পর দিন চাকরি করছেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা।
তাদেরই একজন কক্সবাজারের চকরিয়ার জাকারিয়া হোসেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, দেড় বছর আগে ছয় লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরব এসেছেন। বিন লাদেন কোম্পানিতে মাসিক মূল বেতন ১ হাজার রিয়াল ও অতিরিক্ত আরও দুই থেকে তিনশ’ রিয়াল পান।
তিনি আরও বলেন, দুই মাস আগে কাবা শরীফের বাইরে তৃষ্ণার্ত মুসুল্লিদের জমজমের পানি পান করানোর দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট হলেও চাকরির উছিলায় আল্লাহর ঘরের সান্নিধ্যে সব সময় থাকতে পেরে অনেক খুশি জাকারিয়া। দুই মাস চাকরি করলেও এখনও বেতন পাননি। বেতন না পেলেও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যা বখশিশ দেন তাতেই খুশি তিনি।
বিশেষ করে হজ মওসুমে তাদের মতো কষ্টের কাজ করা শ্রমিকরা বেতনের চেয়ে বখশিশ বেশি পান বলে জানান জাকারিয়া।
তিনি বলেন, কাবা শরিফ ছেড়ে যেতে মন চায় না। জানি না কতোদিন এখানে থাকতে পারবো। প্রতিদিন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণ যেন ছেড়ে যেতে না হয়। একই রকম বক্তব্য প্রায় সব বাংলাদেশি শ্রমিকের।
এমইউ/এমএমজেড/এমএস