হজযাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা : শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান
১৩৩ হজযাত্রীর কাছ থেকে হজের টাকা নিয়ে পালিয়েছে প্রতারক মিনার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স নং-১০৩৩)। ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে মালিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানটির ই-হজ সিস্টেমের ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড পাওয়া যাচ্ছে না অথচ ভিসার সময় প্রায় শেষ। তবে মোফা একাউন্টে কোনো টাকা না থাকায় তাদের হজ যাত্রা অনিশ্চিত বলে জানা গেছে।
উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীরা হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবের শরণাপন্ন হন। সমস্যা সমাধানে হাবের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অনেকে সারা জীবনের আয়ের একটি অংশ রাখেন হজে যাওয়ার নিয়তে। অল্প অল্প করে জমান টাকা। এই টাকার প্রতি মায়া একটু আলাদাই।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের যেকোন মূল্যে হজে পাঠানো হবে। সরকারের ভাবমূর্তির কথা ভেবে আমরা সেটা করবো। এবং হাবের পক্ষ থেকে প্রতারক এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগীরা হলেন মো. শরিফ উদ্দিন খান, দেওয়ান আব্দুল বাকী, দেওয়ান আফিফা বেগম, সাদিক মিয়া, মো. মিলন মিয়া, মিজানুর রহমান, আাসিফ রেজা, আরশাদ আলী, হাফিজা খানম প্রমুখ।
হজ অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, মিনার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস এ বছর সবমিলে ২২৫ জন হজযাত্রীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
হজ ফ্লাইট শুরুর প্রথম কয়েক দিনে ৯২ হজ যাত্রীকে ফ্লাইট দেয়া হয়েছিল। এরপর থেকে তাদের ফকিরাপুলের অফিস বন্ধ রাখে।
প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার আত্মগোপনে আছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ২০০৯ সালে প্রতারণার দায়ে শাস্তি পাওয়া সাউথ এশিয়ান ওভারসিজ নেটওয়ার্কের মালিক মাহফুজ বিন সিরাজ ভুক্তভোগীদের মোনাজ্জেম। সাউথ এশিয়ান ছাড়াও রহমানিয়া ও জামালপুর ট্রাভেলস নামে তিনটি বিতর্কিত ও বন্ধ প্রতিষ্ঠান মিনার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের মাধ্যমে এ বছর হজযাত্রী পাঠানোর চুক্তি করে।
এ বিষয়ে হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এই হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা হজে যাবেন তাদের কাছে অনুরোধ প্রতারক থেকে দূরে থাকবেন।
আরএম/এমআরএম/জেআইএম