ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আঞ্চলিক সহযোগিতায় কাজ করেছেন আমজাদ খান চৌধুরী

প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ০৮ আগস্ট ২০১৫

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্প পরিবার প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী শুধু একজন সফল উদ্যোক্তাই ছিলেন না, বরং তিনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নেও কাজ করেছেন।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই) আয়োজিত চেম্বার ভবনে এমসিসিআই সাবেক সভাপতি ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মেজর জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরী, এমসিসিআই সাবেক সভাপতি স্যামসান এইচ. চৌধুরী, এস. এইচ কবির-এর স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, যারা চলে গেছেন তারা স্মৃতির পাতা থেকে কখনো মুছে যাবেন না। তারা আমাদের পথ চলার সাথী, তারা ব্যবসায়ের পথ প্রদর্শক।
/
এমসিসিআই সহ-সভাপতি আনিস এ. খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান, প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল হক, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, এমসিসিআই সাবেক সভাপতি এম আনিস উদ দৌল্লা, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, মাহবুব জামিল, আব্দুল হাফিজ চৌধুরী, লতিফুর রহমান, লায়লা রহমান কবির, ফারুক সোবহান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, এমসিসিআই সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এ তিন ব্যক্তি বাংলাদেশের আইকন। তারা উদ্যোক্তা হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন। তারা শুধু ব্যবসা করেননি দেশের উন্নয়নে কাজ করেছেন। অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন। দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকার কথা দেশের মানুষ সবসময় মনে রাখবেন।

বক্তারা আরো বলেন, জেনারেল (অব.) আমজাদ খান চৌধুরীর দূরদর্শিতার কারণে প্রাণ-আরএফএলের পণ্য এখন দেশ ছেড়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। প্রতিবেশী ভারতের একটি বিশাল বাজার তারা দখল করে আছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবা আমজাদ খান চৌধুরী আমাদের সব সময় সহযোগিতা করেছেন কিভাবে ব্যবসায় উন্নয়ন করা যায়। তার অনুপ্রেরণায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি’।

তিনি বলেন, এখানে অন্য দুই মহৎ ব্যক্তি স্যামসান এইচ. চৌধুরী ও  এস. এইচ কবির সম্পর্কে তথ্য জানতে পেরেছি। যা আমার আগে জানা ছিল না। তিনি দেশের মহান এসব উদ্যোক্তাদের নিয়ে স্মরণসভা করায় এমসিসিআইকে ধন্যবাদ জানান।
/

ব্যরিস্টার রফিকুল হক বলেন, ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একুশে পদক দেয়া হয় না। কোনো জাতীয় পদকও দেয়া হয় না। দেশের এসব মহৎ ব্যক্তিদের স্মরণে রাখতে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তারা শুধু উদ্যোক্তাই ছিলেন না, সাধারণ মানুষের পাশেও ছিলেন সবসময়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) মাহতাব উদ্দিন।

এসআই/এসএইচএস/একে/আরআইপি