শিক্ষার্থী-সাংবাদিকদের ওপর হামলায় ইইউয়ের উদ্বেগ, তদন্ত দাবি
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক ও অন্যান্যদের ওপর হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। একই সঙ্গে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
ইইউ ও ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ প্রতিনিধিদের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সহিংসতার ঘটনা, সাংবাদিক, আন্দোলনকারী বা অন্যদের ওপর হামলা বন্ধ করতে হবে। এসব ঘটনার অবশ্যই তদন্ত করতে হবে এবং অপরাধীদের জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, স্কুলের শিশুরা সড়কে নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেছে। আমরা আশা করি, এটিকে মোকাবেলা করতে সরকার আরও পদক্ষেপ নেবে। আমরা আশা করছি, সকল পক্ষ ধৈর্যধারণ করবে এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের দাবির প্রতি সম্মান দেখাবে।
যৌথ বিবৃতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক, ড্যানিশ রাষ্ট্রদূত মিকায়েল হেমনিটি উইন্টার, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ডি আলভারো দ্য সালাস গিমেনেজ ডি আজকারেট, ফ্রান্সের দূত জিন-পিয়েয়ে পোনসেট, ইতালি দূত গিউসেপ সেমেঞ্জা, জার্মানির দূত মাইকেল শ্যুথেস, সুইডেনের দূত এন্ডার্স ওহরস্ট্রম, নেদারল্যান্ডের দূত জেরোয়েন স্টিঘস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি কনস্ট্যান্টিনোস ভার্ডাকিস স্বাক্ষর করেছেন।
গত ২৯ জুলাই (রোববার) বিমানবন্দর সড়কে বাস দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে তাদের আন্দোলন রাজধানী থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলন থেকে শিক্ষার্থীরা ৯ দফা দাবি জানান।
টানা ৯ দিন আন্দোলনের মধ্যে জিগাতলা এলাকায় ইউনিফরম পরা শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়ে পড়েন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে সেখানে হেলমেট পরা যুবকরা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্তব্যরত সাংবাদিকরাও এ সময় মারধরের শিকার হন।
আরএস/পিআর