ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সাতদিন পর শান্ত ঢাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:২১ পিএম, ০৫ আগস্ট ২০১৮

রাজধানীতে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে টানা সাতদিন কার্যত স্থবির হয়েছিল ঢাকা।

তবে অষ্টম দিনে এসে পরিস্থিত কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে; যদিও আজও রাস্তায় গণপরিবহনের দেখা মিলছে না।

২৯ জুলাই দুর্ঘটনার পরই আন্দোলন শুরু হয়ে গতকাল শনিবার পর্যন্ত তা একই ধারায় চলে। তবে গতকাল বিকেলে জিগতলায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর গুজব ছড়িয়ে পড়ে সেখানে ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

এরপর আজ রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবস্থান আগের দিনগুলোর মতো নেই। তবে শাহবাগে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা গতকালের হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এ ছাড়া রামপুরা ব্রিজেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। উত্তরাতেও শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের খবর পাওয়া গেছে।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। তবে অন্যদিনের মতো আজ এই শিক্ষার্থীদের ইউনিফর্মে দেখা যায়নি।

এদিকে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে রূপসী বাংলা হোটেলের দিকে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় নিহত হন মিম ও করিম নামে দুই শিক্ষার্থী। ওই দুর্ঘটনায় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী আহতও হন । এ ঘটনায় দিয়ার বাবা ওই দিনই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।

দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার তাদের আন্দোলনের অষ্টম দিনেও কার্যত স্থবির হয়ে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। নিরাপত্তাহীনতার অজুহাতে ঢাকা শহরের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন মালিকরা।

এরই মধ্যে শনিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্ররূপী বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায় বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

জিগাতলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে গতকাল বিকেলে।

এমএএস/এআর/এনএফ/এমএস

আরও পড়ুন