ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শিক্ষার্থীকে বিদেশির গাড়ির ধাক্কা, উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থার দাবিতে সপ্তম দিনের মতো রাস্তায় শিক্ষার্থীরা। বেপরোয়া বাসের চাপায় গত ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় টানা সপ্তম দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে আসছে তারা।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে শনিবার সকাল ১০টা থেকে ফের রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে শাহবাগে হলুদ নম্বরপ্লেটের একটি প্রাইভেটকার শাহবাগ মোড়ে আসে। তা ঘিরে ফেলে শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, গাড়িটি এক বিদেশির।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, দ্রুতগতির ওই গাড়িকে থামিয়ে লাইসেন্স চেক করতে চাইছিল শিক্ষার্থীরা। চালক তা করতে দেয়নি। দ্রুতগতিতে মোড় পার হয়ে যায়। এ সময় একজন শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেয় গাড়িটি। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গাড়িটির পিছু নেয় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের ফটওভারব্রিজের নিচে তারা আটকে দেয় গাড়িটিকে। বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। গাড়ির ভেতরে ওই সময় একজন বিদেশি নাগরিককে দেখা যায়। পরে শাহবাগ থানার পুলিশ গাড়িটিকে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

রোববার (২৯ জুলাই) দুপুরে কালশি ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে ১৫-২০ জন শিক্ষার্থী দাঁড়িয়ে ছিল। জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে নামার সময় মুখেই দাঁড়িয়ে যায়। তখন পেছন থেকে আরেকটি দ্রুতগতি সম্পন্ন জাবালে নূরের বাস ওভারটেক করে সামনে আসতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। নিমিষেই বাসটি ওঠে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর। চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুইজন। এ ছাড়া আহত হয় আরও ১৩ জন শিক্ষার্থী।

নিহত দুজন হলো- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।

ওই ঘটনায় গত রোববার রাতেই নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৩। এ ঘটনায় জাবালে নূরের তিনটি বাসের তিন চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

অান্দোলনে নেমে নৌমন্ত্রীর পদত্যাগসহ ৯ দফা দাবি করে শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ী বেপরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে, নৌ-পরিবহনমন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে, শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্প্রিড ব্রেকার দিতে হবে, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভর সরকারকে নিতে হবে, শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে- থামিয়ে তাদের নিতে হবে, শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না এবং বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।

এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তাদের এসব দাবি মেনে নেয়া হবে।

এআর/জেডএ/জেআইএম

আরও পড়ুন