ফজিলাতুন্নেছার ৮৫তম জন্মবার্ষিকী
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের আজ ৮৫তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করছে ক্ষমতাসীন অওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো।
১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সে পিতা শেখ জহুরুল হক ও পাঁচ বছর বয়সে মাতা হোসনে আরা বেগমকে হারান তিনি। ১৯৩৮ সালে মাত্র নয় বছর বয়সে চাচাত ভাই শেখ লুৎফর রহমানের পুত্র শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেগম ফজিলাতুন্নেছার বিবাহ হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার সময় ঘাতকরা পরিবারের অপর সদস্যদের সঙ্গে বেগম মুজিবকেও নির্মমভাবে হত্যা করে।
মুজিব দম্পতির ঘরে দুই কন্যা এবং তিন পুত্রের জন্ম হয়। কন্যারা হলেন - শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) এবং শেখ রেহানা। পুত্রদের নাম শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল। তিনজন পুত্রই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট রাতে আততায়ীর হাতে নিহত হন।
বেগম মুজিব ছিলেন মনেপ্রাণে একজন আদর্শ বাঙালি নারী। অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তা, শান্ত, অসীম ধৈর্য ও সাহস নিয়ে জীবনে যে কোনো পরিস্থিতি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করতেন। তার তেমন কোনো বৈষয়িক চাহিদা ও মোহ ছিল না। স্বামীর রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত দানশীল ও অতিথি পরায়ণ।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, বনানী কবরস্থানে বেগম মুজিবের কবরে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ অজস্র সংগঠন জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে পালন করার আহ্বান জানিয়েছন।
এএসএস/এসকেডি/এমএস