ঘাতকের বিচারের দাবিতে মেঘও রাজপথে
নিরাপদ সড়ক চাই, বাস চাপায় নিহত আপু-ভাইয়্যাদের খুনের বিচার চাই, ছোটদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ চাই, আমার বাবা-মার (সাগর-রুনি) খুনের বিচার চাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’
প্ল্যাকার্ড লেখা এই কথাগুলো ধরে দাঁড়িয়েছিলেন এক শিশু। হঠাৎ করে কারও চোখ পড়লে আর দশটা শিশুর মতো এ শিশুটিও রাজপথে দাঁড়িয়েছে বলে সবাই মনে করবে। কিন্তু চার নম্বর লেখাটা দেখলে অনেকের চোখেই ভেসে উঠবে তেজকুনিপাড়ার নিজ বাসায় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির কথা।
তাদের একমাত্র ছেলে মেঘ বাস চাপায় নিহত শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে দাঁড়িয়েছে। সেও নিরাপদ সড়ক চাইছে, সঙ্গে বাবা-মা সাগর-রুনির বিচারও চেয়েছে।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ দম্পত্তি নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ওই নির্মম হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আজও শনাক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।
২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষির ফলে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী।
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম