‘অপারেশন করতে হবে’ ডাক্তারকে দ্রুত পৌঁছে দিল শিক্ষার্থীরা
রোগীর অপারেশন করতে হবে শুনেই ডাক্তারকে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিশু-কিশোরদের এমন দায়িত্ববোধ দেখে অবাক হয়েছেন স্থানীয় লোকজনেরা।
জানা গেছে, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান সরদার এ নাঈম বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে যাওয়ার পথে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কবলে পড়েন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র দেখার সময় জানতে পারে চিকিৎসক নাঈমকে হাসপাতালে পৌঁছতে হবে। শিক্ষার্থীরা নিজে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নির্বিঘ্নে হাসপাতালে পৌঁছে দেন চিকিৎসককে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ওই চিকিৎসক। তিনি লিখেছেন, ‘আজ দুপুরে আন্দোলনরত ছাত্রদের একজন আমার গাড়ির কাগজপত্র দেখে যখন জানলো আমাকে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে অপারেশন করার জন্য, তখন সে নিজ উদ্যোগে আমার গাড়িসহ নীলক্ষেতের মোড় থেকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে গেল।
ডা. নাঈম বলেন, ওর মুখে প্রত্যয়দীপ্ত কণ্ঠে শুনলাম, ওদের আন্দোলন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অসততার বিরুদ্ধে, সাধারণ মানুষকে কষ্টে ফেলার জন্য নয়। বেঁচে থাকো তোমরা, তোমাদের হাতেই গড়ে উঠবে আমাদের স্বপ্নের সোনার দেশ।
২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাস স্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষির ফলে একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়। একই ঘটনায় আহত হয় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী।
নিহত দুই শিক্ষার্থী হলো- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
এমআরএম/পিআর