নিজ গাড়ি রেখে অন্যের গাড়িতে মন্ত্রী মঞ্জু
চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় পানিসম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর গাড়িও আটকে দিলেন শিক্ষার্থীরা। পরে মন্ত্রী নিজেই গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অন্য একটি গাড়িতে চড়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গাড়ি নিয়ে ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সেখানে অবস্থান নেয়া ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী তার গাড়ির গতিরোধ করেন এবং গাড়ির চালকের কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চান।
কিন্তু চালক লাইসেন্স দেখাতে না পারায় শিক্ষার্থীরা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি যেতে দেয়া হবে না বলে স্লোগান দেন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘সবার জন্য আইন সমান’- বলেও স্লোগান দেন। ‘লাইসেন্স ছাড়া কেন ড্রাইভার এলাও করা হলো’- এমন প্রশ্নও রাখেন তারা।
পরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছাতা নিয়ে মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আরেকটি গাড়িতে তুলে দেন।
সড়কে অবস্থান নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মন্ত্রী স্যারের গাড়িচালকের লাইসেন্স না থাকায় তিনি গাড়ি থেকে নেমে গেছেন। গাড়ি থেকে নেমে তিনি আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতাও প্রকাশ করেছেন। তার গাড়িচালকের নামে যাতে কেস করা হয়, সে জন্য তিনি নিজে গাড়ি রেখে গেছেন। তিনি আমাদের সহায়তা করেছেন। এ কারণে আমরা মন্ত্রী স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।’
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমরা মন্ত্রী স্যারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভারকে কীভাবে এলাও করা হলো- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী স্যার কোনো মন্তব্য না করে হাসিমুখে গাড়ি থেকে নেমে অন্য গাড়িতে উঠে যান।’
গতকালও রাজধানীর শাহবাগ এলাকা দিয়ে উল্টোপথে যাওয়ার সময় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বিএমডব্লিউ গাড়ি আটকে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পুলিশ প্রোটোকলে থাকা গাড়িটি শেষ পর্যন্ত ওই পথেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এদিন গাড়িচালকের লাইসেন্স না থাকায় নৌপুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) হাবিবসহ অনেক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি আটকে দেন তারা।
এমএইচএম/এমএআর/পিআর