ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তদন্ত কমিটির ভুল তথ্য, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৭ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৮

পরিবেশ অধিদফতরে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ৬৭ জন কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে গঠিত ‘তদন্ত কমিটি’ প্রধানের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট প্রদানে অনিয়ম করায় ‘তদন্ত কমিটি’র সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রণালয় ও সংসদীয় কমিটি।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এবং টিপু সুলতান বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়টি আলোচনাকালে মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কারণেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদও আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

২০১৭ সালের নভেম্বরে পরিবেশ অধিদফতরে ৪৯ জন অফিস সহায়ক, ১২ জন নিরাপত্তা প্রহরী ও ৬ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়। পত্রিকায় এ সম্পর্কিত দরপত্র আহ্বানের পর নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান পিমা অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উত্থাপিত হয়।

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনার পর অতিরিক্ত সচিব ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নানের নেতৃত্বে চার সদস্যেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের রিপোর্টে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে উল্লেখ করে।

মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অভিযোগ উত্থাপনকারী ১২ জন অভিযোগকারীকে হাজির করা হয়। তারা নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতির অডিও রেকর্ডসহ প্রমাণাদি উত্থাপন করেন। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে একজন অভিযোগকারীর বক্তব্য শোনার পরেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী।

তারা নিয়োগের অনিয়মের অভিযোগ সঠিকভাবে তদন্ত না করে অসত্য তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য তদন্ত কমিটির প্রধানসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মত দেন। সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

বৈঠকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে পলিথিন তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে এবং পলিথিন বন্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সুপারিশ করে।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয় যে, ১৩ জুলাই ২০১০ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে অভিযানে আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান/স্থাপনা/ব্যক্তির মোট সংখ্যা ৪১৯১টি, ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছিল ২শ’ ৭০.০৩ কোটি টাকা এবং ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে ১৬৫.৯৭ কোটি টাকা।

এছাড়াও জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮ সময়ে ইটভাটার বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের অভিযানের সংখ্যা ১৪৯টি, জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয় যে, জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮ সময়ে পাহাড় কর্তনের বিরুদ্ধে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের অভিযানের সংখ্যা ৬৬টি, জরিমানা ধার্য করা হয় ২৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা এবং জরিমানা আদায় করা হয় ১৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এমআরএম/আরআইপি

আরও পড়ুন