ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ড্রেনেজ লাইন পরিষ্কার না করায় রাজধানীতে জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৮

রাজধানীর মোট ড্রেনেজ লাইনের ১ হাজার ২৩০ কিলোমিটার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি), ১ হাজার কিলোমিটার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) এবং বাকি ৩৭০ কিলোমিটার ওয়াসার বক্স কালর্ভাট। এসব ড্রেনেজ লাইন নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাজধানী তলিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

শুক্রবার ঢাকার কলাবাগানে পবা কার্যালয়ে 'ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষের দায়' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ অভিযোগ করা হয়।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, রাজধানীর পানি নিষ্কাশন পথগুলো আবর্জনায় ভরাট হয়ে থাকে। শত শত কোটি টাকা খরচ করে এসব আবর্জনা পরিষ্কার, ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার ও উন্নয়ন করলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না নগরবাসীর। বর্তমান সময়েও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম চলছে। এরপরও স্বস্তিত্ব নেই নগরবাসী। কারণ রাজধানীর অবশিষ্ট খালগুলো নিয়মিত দখল হচ্ছে, ড্রেন ও জলাশয় আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে।

তারা বলেন, ১৯৮৯ সালে ওয়াসাকে পানি নিষ্কাশনের মূল দায়িত্ব দেয়া হয়। পাশাপাশি একাজে যুক্ত হয় সিটি কর্পোরেশনসহ আরও কয়েকটি সংস্থা। ওয়াসা পানি সরবরাহে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত থাকায় পানি নিষ্কাশনে নজর দেয়ার সময় নেই তাদের। আর এর ফল ভোগ করছেন নগরবাসী। এদিকে গত বুধবার ডিএসসিসির ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে মেয়র বলেন, জলজট-যানজট নিরসনের দায়িত্ব তার নয়। জলজটের সমাধান করবে ঢাকা ওয়াসা।

জলাবদ্ধতার এমন সমস্যা নিরসনে পবার পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- জলাবদ্ধতা নিরসনে সঠিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, খালগুলো পুনরুদ্ধার, দুই পাড় বাঁধাই করে দেয়া, ড্রেনেজ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন, সংস্থাসমূহ একে অপরকে দোষারোপ না করে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন, খাল-ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার করা, প্রতিটি সংস্থার জবাবিহিতা নিশ্চিত করা, সুয়ারেজ ও ড্রেনেজ সিস্টেমকে একক কর্তৃত্বে আনা এবং খালে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা রাজউক কর্তৃক অপসারণ করা।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান।

আরও বক্তব্য রাখেন পবার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, এম এ ওয়াহেদ, নাসফের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার, বিআইডাব্লিউটিএ’র সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ, সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক স্থপতি জোবাইদা গুলশান আরা, বিসিএইচআরডির নির্বাহী পরিচালক মাহবুল হক, পরিচালক মো. মমতাজুর রহমান মোহন, সবুজ ছাতা হেলথ কেয়ারের এমডি মো. শরিফুজ্জামান খান, পবার সহ-সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, মানবাধিকার কর্মী মো. মাসুম, গ্রীণ ফোর্সের প্রতিনিধি মো. মাহাদী প্রমুখ।

এএস/এমএমজেড/এমএস

আরও পড়ুন