ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা চেম্বারে স্থগিত

প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ০৬ আগস্ট ২০১৫

জাতীয় প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির কার্যক্রমের ওপর জারি করা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করে নতুন এই আদেশ দেন।

প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির পক্ষে সভাপতি সফিকুর রহমান হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তথ্যটি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির নেতা সরদার ফরিদ আহমদ।
 
এর আগে মুহাম্মদ শফিকুর রহমানকে সভাপতি এবং কামরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল ধরণের কার্যক্রমের উপর ছয় মাসের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই কমিটির কার্যক্রমের উপর কেন স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি সম্পাদকসহ ১১ জনকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এক রিভিশন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি শরিফ উদ্দিন চাকলাদারের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আহমেদের করা আবেদনে এ নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট সালেহ উদ্দিন।

এর পর হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আনা আবেদন শুনানি করে চেম্বার জজ আদালত নতুন করে এই আদেশ দেন।

গত ২৮ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের আওয়ামী লীগ সমর্থক সদস্য এবং বিএনপি সমর্থকদের একাংশ বৈঠক করে ‘সমঝোতার’ মাধ্যমে মুহাম্মদ শফিকুর রহমানকে সভাপতি এবং কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করে। এ অবস্থায় এই কমিটিকে অনির্বাচিত কমিটি দাবি করে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আহমেদ নতুন এই কমিটির কার্যক্রমের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে আবেদন করেন।
 
কিন্তু আদালত কোনো নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে আবেদনটি নথিতে রেখে দেন। এ অবস্থায় ওই আদেশের বিরুদ্ধে বুধবার হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন সৈয়দ আবদাল আহমেদ। পরে বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদের নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু নির্বাচনে জটিলতা দেখা দেওয়ায় উভয় পক্ষের সাংবাদিক নেতারা সমঝোতার মাধ্যমে একটি কমিটি গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এরইমধ্যে বিএনপি সমর্থক সাংবাদিকদের একটি অংশ সরকার সমর্থক সাংবাদিকদের সঙ্গে আপোষ করে মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও কামরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্ব কমিটি ঘোষণা করেন।

এফএইচ/আরএস/এমআরআই