হজযাত্রী প্রতিস্থাপনে কোটার দ্বিগুণ আবেদন!
মৃত্যু ও অসুস্থতাজনিত কারণে তিন শর্তে বিভিন্ন এজেন্সিকে অতিরিক্ত আরও চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তবে মৃত্যু ও অসুস্থতাজনিত কারণে বিভিন্ন এজেন্সি যাত্রী পাঠাতে পারছে না- মর্মে অতিরিক্ত আরও ১১ শতাংশ অর্থাৎ মোট ১৫ শতাংশ রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ দেয়ার আবেদন জানায়।
শর্ত তিনটি হলো ১. এজেন্সিকে সর্বোচ্চ চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের জন্য তার নিজস্ব প্যাডে পরিচালক, হজ অফিস, আশকোনা, ঢাকা বরাবর আগামী ২৪ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদনটি অনলাইনেও নিশ্চিত করতে হবে।
২. আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রতিস্থাপনযোগ্য হজযাত্রী গুরুতর অসুস্থতা অথবা মৃত্যুজনিত কারণে হজপালন করতে পারবেন না- মর্মে উপযুক্ত চিকিৎসকের নিকট থেকে সনদ দাখিল করতে হবে।
৩. প্রতিস্থাপন প্রাপ্তির জন্য এজেন্সির পক্ষ থেকে কোনো মিথ্যা তথ্য প্রদান করা হচ্ছে না- মর্মে ৩০০ (তিনশত) টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা আবেদনের সঙ্গে দাখিল করতে হবে।
গতকাল (শনিবার) রাজধানীর বেইলি রোডের বাসভবনে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এক সাংবাদিক সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, চলতি বছর হজ নীতিমালায় বিভিন্ন এজেন্সি তাদের মোট হজযাত্রীর চার শতাংশ প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবে বলা হয়েছিল। সে মোতাবেক ইতোমধ্যেই এজেন্সিগুলো মোট চার হাজার ৬১৪ জন হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করেছে।
উল্লেখ্য, হজপরবর্তী সময়ে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে কোনো প্রতিস্থাপন গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা যাচাই করা হবে। যাচাই করে প্রদত্ত তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর মোট ৫২৮টি এজেন্সি হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। প্রায় সব এজেন্সিই এর আগে চার শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করেছে। হাব নেতাদের দাবির মুখে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন এজেন্সির কাছে তাদের কত সংখ্যক যাত্রী মৃত্যু ও অসুস্থার কারণে এবার হজে যেতে ইচ্ছুক নন এমন হজযাত্রীদের তালিকা চায়।
তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক নোটিশে ২১ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৫শ’ এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের মোট আট হাজার ২৫৯ জন হজযাত্রী এবার হজে যাবেন না। আবেদনকৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৭ জন ও সর্বনিম্ন একজন প্রতিস্থাপন চায় এমন এজেন্সিও রয়েছে।
এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার হজযাত্রী মক্কা ও মদিনায় যাবেন। আগের শতকরা চার ভাগ ও বৃহস্পতিবার ঘোষিত চার শতাংশের হিসাবে ৯ হাজার ৬০০ জন প্রতিস্থাপন পান। প্রথম দফায় গত বছর চার হাজার ৬১৪ জন প্রতিস্থাপন করেছেন। সে হিসাবে তিন হাজার ২৭৩টি অতিরিক্ত কোটার আবেদন জমা পড়েছে।
ধর্ম মন্ত্রনালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, এজেন্সিগুলো অনেক বেশি হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের আবেদন করেছে। যে এজেন্সি আগের দফায় ১০ জন যাত্রী প্রতিস্থাপন চেয়েছে তারা এখন ৬০ থেকে ৭০ জন প্রতিস্থাপনের আবেদন করেছে। এর পেছনে বাণিজ্য মনোবৃত্তি কাজ করছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
এমইউ/বিএ/পিআর