কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ
আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ১৬ লাখ। এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭১ লাখ। গতবছর এ সংখ্যা ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ হাজারের বেশি।
তবে কোরবানিযোগ্য মোট পশুর মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট গরু-মহিষের সংখ্যা ২৯ লাখ ২০ হাজারের বেশি এবং ভেড়া-ছাগল ১৮ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। বাকিগুলো অনুৎপাদনশীল গরু-মহিষ ও ছাগল-ভেড়া।
শনিবার মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, এ বছর কোরবানির হাটে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোটহাটে অন্তত একটি, বড়হাটে দু’টি করে এবং ঢাকার গাবতলী হাটে চারটি মেডিকেল টিম থাকবে।
রাজধানীর প্রতিটি টিমে একজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন টেকনিক্যাল কর্মী (ভিএফএ/ইউএলএ) এবং একজন করে শেরেবাংলানগর কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্ন ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন। গতবছর সারাদেশে ২ হাজার ৩৬২টি পশুর হাটে ১ হাজার ১৯৩টি মেডিকেল টিম কাজ করেছে।
আগের বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর গবাদিপশুর খামারগুলোতে স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ল্যাবরেটরি-পরীক্ষার ব্যবস্থা ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোনজাতীয় ওষুধের বিক্রয় ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে। এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে চোরাইপথে এসব দ্রব্যের আমদানি বন্ধে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর মনিটরিং থাকবে। সেই সঙ্গে জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসন ও পল্লী চিকিৎসকদের এসবের ব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও নির্দিষ্টস্থানে কোরবানি দেয়াসহ বর্জ্য যেখানে-সেখানে না ফেলা এবং কোরবানির আগে-পরে ঢাকা সিটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রণালয় সব রকমের ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো হবে।
সম্প্রতি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে ‘ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি-সেবা সংক্রান্ত’ এক আন্তঃমন্ত্রণালয়সভায় এসব তথ্য দেয়া হয় বলে তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়।
এমইউ/এনএফ/এমএস