সরকারি চাকরিতে কোটার বাস্তবায়ন চান প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা
সরকারি চাকরিতে এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ বাস্তবায়নসহ সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি তুলেছেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ।
রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. আলী হোসাইন জানান, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সরকার প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে ২০১২ সালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনের ক-ধারায় বলা হয়, বিসিএস ক্যাডারসহ সরকারি দফতর, স্বায়ত্বশাসিত/আধা-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের এক শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। অথচ আজ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
এছাড়া খ-ধারায় বলা হয়, বিসিএস ক্যাডারসহ সরকারি দফতর, স্বায়ত্বশাসিত/আধা-স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশনের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটাসমূহের মধ্যে যে কোটায় পর্যাপ্ত সংখ্যক যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাবে না সেই কোটা এক শতাংশ যোগ্য প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।
আলী হোসাইন বলেন, আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখছি সরকারি সব প্রতিষ্ঠানই কেবল (খ) ধারার অনুসরণ করছে। এতে বোঝা যায় যে, বাংলাদেশের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত এক শতাংশ কোটা বিভ্রান্তিমূলক। এ বিভ্রান্তির অবসান হওয়া জরুরি।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চলমান জরিপমতে, বাংলাদেশে বর্তমানে নিবন্ধনকৃত প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ। ২০১০ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘পরিবারের আয় ও ব্যয় জরিপ’ অনুযায়ী দেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ৯.০৭ শতাংশ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা বলা হয়েছে ১৫. ০৭ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী নেতারা এমন অভিযোগ করে সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি জানান।
এর মধ্যে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে পদ অনুপাতে প্রতিবন্ধীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বরাদ্দ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধী কোটার সংস্কার, প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষায় সময় বৃদ্ধি, বেসরকারিখাতে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৭ বছরে উন্নীত ও চাকরির পরীক্ষায় শ্রুতিলেখকের অনুমতি প্রদান।
এইউএ/এমএমজেড/এমএস