ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পার্ক-খেলার মাঠে কোরবানির হাট না বসানোর দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ২১ জুলাই ২০১৮

পার্ক-খেলার মাঠ ও রাস্তার পাশে কোরবানির হাট না বসানোর দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলন (পবা)। পাশাপাশি কোরবানি দেয়া ও পরবর্তী সময়ে পালনীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।

শনিবার রাজধানীর কলাবাগানে পবার কার্যালয়ে গোল টেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। আলোচকরা বলেন, প্রতি বছর সারাদেশে গরু, মহিষ, ভেড়া, খাসি ইত্যাদি প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ পশু ঈদে জবাই করা হয়। ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সর্বত্র ঈদের দিন বা পরের দিন যত্রতত্র বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু জবাই করা হয়।

জবাইকৃত পশুর বর্জ্য-রক্ত, নাড়িভুড়ি, গোবর, হাড়, খুর, শিং ইত্যাদি সঠিক ব্যবস্থাপনা ও জনসচেতনার অভাবে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ সম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে করা হলে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করা, অন্যদিকে জবাইকৃত পশুর অতিরিক্ত অংশ সম্পদে রূপান্তর করা সম্ভব হবে। কিন্তু সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে আমাদের দেশে কোরবানি পরবর্তী সময়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যা কারো কাম্য নয়।

বক্তারা আরও বলেন, পবিত্র মক্কা নগরীতে কোরবানির কতগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন- কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান থাকা ও জায়গাটি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া। কোরবানির পশুটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং পশুটি রোগমুক্ত ও কোরবানির উপযুক্ত কিনা সেটাও পরীক্ষা করা।

তারা বলেন, পরিবেশসম্মত কোরবানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে সরকার ২০১৫ সালের কোরবানির ঈদে ঢাকা মহানগরীর ৩৯৩টি, ২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণে ৫৮৩টি এবং উত্তরে ৫৬৭টি এবং ২০১৭ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ৬২৫টি এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৪৯টি স্থানকে কোরবানির জন্য নির্ধারিত করে। কিন্তু এরপরও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন স্থায়ী উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না।

পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. মো. আবদুস সোবহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. লেলিন চৌধুরী, নাসফের সাধারণ সম্পাদক তৈয়ব আলী, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, এম এ ওয়াহেদ, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামন মজুমদার, সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক জোবাইদা গুলশান আরা প্রমুখ।

এএস/এমআরএম/জেআইএম

আরও পড়ুন