হজ এজেন্সিতে অনিয়ম উদ্ঘাটন করলো দুদক
হজ এজেন্সি কর্তৃক হজযাত্রীদের প্রতারণা, দুর্নীতি ও মানবপাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর ফকিরাপুলের হজ এজেন্সিসমূহে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি এনফোর্সমেন্ট টিম। রোববার উপ-পরিচালক মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে পুলিশসহ ৯ সদস্যের দুদকের ইনফোর্সমেন্ট টিম চতুর্থবারের মতো এ অভিযান চালায়।
এর আগে গত ২, ৪ ও ৯ জুলাই দুদক দল যথাক্রমে রাজধানীর পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন ও ফকিরাপুলের হজ এজেন্সিসমূহে অভিযান চালিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার রাজধানীর ফকিরাপুলে জি-নেট টাওয়ারে অবস্থিত ৮টি ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালায় দুদক।
অভিযানে খানজাহান আলী হজ ট্যুর ও ট্রাভেলস সরকারের কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় আল-মদিনা ট্রাভেলসের নামে হাজযাত্রী পাঠাচ্ছে বলে দুদক টিম উদ্ঘাটন করে। এছাড়া জামালপুর ট্যুর ও ট্রাভেলস নিজেদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাজযাত্রী না পেয়ে মিনার ট্রাভেলসকে তাদের যাত্রী পাঠানোর দায়িত্ব দিয়েছে।
সরেজমিন অভিযানে কিং এয়ার ইন্টারন্যাশনালে বড় অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুদক টিম। উল্লেখিত হজ এজেন্ট নিজের নিবন্ধনকৃত হাজী প্রেরণ না করে তাদের লাইসেন্স নীল সাগর ট্রাভেল এজেন্সিকে প্রদান করেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, নীল সাগর ট্রাভেল এজেন্সির নিজস্ব কোনো হজ লাইসেন্স নেই।
এছাড়া দুদক টিম এয়ার কনফিডেন্স, নিটলাইন হাজারী হজ ট্যুর ও কেবি এয়ার ইন্টারন্যাশনাল হজ এজেন্সিতে অভিযান পরিচালনা করে লাইসেন্স এবং হজযাত্রীদের তালিকা পরীক্ষা করে। এ সময় তারা একাধিক হজযাত্রীর সাথে কথা বলে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে চান এবং সকল এজেন্টকে কোনোরূপ হয়রানি ছাড়া যাত্রীসেবা প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, হজ নিয়ে দুর্নীতি বা প্রতারণা বন্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রাখা হবে এবং দুর্নীতির প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমইউ/আরএস