শাহজালালের আগুন নিয়ন্ত্রণে
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় আধ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম আবার শুরু হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ৫টা ৫৮ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়ে প্রথমে ৪টি ও পর্যাক্রয়ে ৭টি ইউনিট বিমানবন্দরে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কোনো আগুন (ফ্লেইম) দেখতে পাননি, কিন্তু ধোঁয়া দেখেছেন।
সিলিংয়ের ক্যাবল থেকে আগুনের সূত্রপাত
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান জাগো নিউজকে বলেন, সিলিংয়ের কোনো একটি ক্যাবলে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধু ধোঁয়া দেখতে পায়।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের সিলিংয়ের ওপরে অনেক ধরনের ক্যাবল আছে, এর কোনো একটি থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আমরা সূত্র খোঁজার চেষ্টা করছি। তবে ভয়ের কিছু নেই, বর্তমানে বিমানবন্দরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের ফায়ার স্টেশন রিভাইজড করতে হবে। সেখানে ইলেকট্রিক্যাল অডিট ও ফায়ার সেফটি অডিট করে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ আল ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘এটা আগুন ছিল না। এটা ছিল ধোঁয়া, যা খুব দ্রুত টার্মিনালে ছড়িয়ে পড়ে। এটা এসির ধোঁয়াও হতে পারে। সাবধানতার জন্য কিছুক্ষণের জন্য বিমানবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল, আমরা যাত্রীদেরও টার্মিনালের বাইরে বের করে দেই।’
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘অল্পতে বিষয়টি আঁচ করতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।’
রোববার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিপার্চার টার্মিনালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করে।
এআর/আরএম/জেডএ/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ