খরতাপে নগরবাসীর হাঁসফাঁস
#শিগগিরই বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম
# সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪. ৪ ডি. সে.
# শরবত বিক্রি বেড়েছে
`আষাঢ় মাস, মেঘলা আকাশ, ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ঠাণ্ডা বাতাস’ কবির এই দুটো লাইনের মতোই থাকার কথা এখন। অথচ চিত্র উল্টো। আকাশে নেই মেঘ, আছে শুধু রোদের খরতাপ। এই খরতাপে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। বিশেষ করে শিশু, রিকশাওয়ালা ও দিনমজুররা বেশি বেকায়দায় পড়েছে । আর এই সুযোগে জমে উঠেছে ফুটপাতের শরবতের ব্যবসা।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, গরমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই এ গরমে উচিত বেশি বেশি পানি পান করা। আর পারত পক্ষে রোদে ঘুরাঘুরি না করাই শ্রেয়।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, রাজধানীতে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩ ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি আর সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অতিমাত্রায় গরম পড়ায় জীবন নাকাল হয়ে যাওয়ার চিত্র দেখা যায় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে। বাড্ডা রোডে আরিফ নামে একজন পথচারী জানায়, গরমে রাস্তা দিয়ে হাঁটাও যাচ্ছে না। শরীর ঘেমে যাচ্ছে। একটু হেঁটেই ছায়ায় বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। অনেকে রিকশায় যেতে চাইলেও রিকশাওয়ালারা ভর-দুপুরে ভাড়া নিতে চাচ্ছেন না। কেননা রিকশাওয়ালারাও তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।
একই রাস্তায় হোসাইন মার্কেটের উল্টো দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দেখা যায়, বিল্ডিংয়ের ছায়ায় অনেক রিকশাওয়ালা বসে আছেন। সবাই গরমে ঘামার্ত অবস্থায় বসে আছেন। দুপুর বেলা কেউ ভাড়া নিতে আগ্রহী দেখাচ্ছে না।
একই অবস্থা অন্যান্য পথযাত্রীরও। মুরাদ হোসেন নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী জাগো নিউজকে বলেন, সকালে থেকে প্রচণ্ড রোদ। বাইক নিয়ে বের হতে মন চাইছিল না। কিন্তু কাজ থাকার কারণে বের হয়েছি।
এদিকে গরমের কারণে ফুটপাতে শরবতের বিক্রিও বেড়েছে। রাজধানীর বিশ্ব রোড এলাকায় কথা হয় শরবত বিক্রেতা মনজুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ফলের মিক্সড শরবত বিক্রি করছি সকাল থেকে। বরফ আলাদাভাবে দেয়া হচ্ছে। রোদের তাপ বাড়লে শরবত বিক্রি বাড়ে।
আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, শিগগিরই ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। রোদের কারণে অস্বস্তি একটু বেশি। এটা থাকবে আরও কিছু দিন। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমএ/এআর/জেএইচ/জেআইএম