ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের বাস্তবায়ন চান বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৮

জাতীয়করণের দাবিতে সভা সমাবেশ এমনকি টানা ১৮ দিন রাজপথে অনশন করেও অধিকার আদায় হয়নি। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই কঠিন কর্মসূচি পালন করতে চান জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়করণ বঞ্চিত বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তারা। দাবি আদায়ে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি সংগঠনের শিক্ষক কর্মচারীর সমন্বয়ে এই ঐক্য পরিষদ গড়ে তোলা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব আ. স. ম. জাফর ইকবাল বলেন, ২০১৩ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশে আর কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়বে না। এমন কি যেসব বিদ্যালয় ২০১২ সালের ২৭ মে'র আগে স্থাপিত হয়েছে সেগুলোও জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সে ঘোষণার পর প্রথম ধাপে ২২ হাজার ৯৯৫টি এবং দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ২৫২টি স্কুল জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হয়। তৃতীয় ধাপে ৯৬০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য বাছাই করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রায় ৪ হাজার ১৩৯টি জাতীয়করণের যোগ্যতা সম্পন্ন স্কুল তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। তাই সেগুলোও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণের দাবি করে তিনি বলেন, নতুবা আমরা কঠিন কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবো।

সংগঠনের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয়করণ নিয়ে সেই ঘোষণার বাস্তবায়ণ হউক। উনার কাছে আমাদের দাবি- হয় আমাদের জাতীয়করণ, নয় আমাদের মরণ। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কারণ কেউ জাতীয়করণের আওতাভুক্ত, কেউ বঞ্চিত। এতে বঞ্চিতরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ফলে কেউ খেতে পাচ্ছে না, আবার কেউ বিরিয়ানি খেতে চাচ্ছে- অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই এমন বৈষম্যদূরীকরণ করে অতিদ্রুত বঞ্চিতদের জাতীয়করণের আওতাভুক্তের দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রব রতন, বে-সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মহাসচিব মো. সাইদুল ইসলাম, সভাপতি মো. শাহাজাহান আলী সুজন ও বাংলাদেশ নব-জাতীয়করণকৃত শিক্ষক সমাতির মহাসচিব মো. মেহেদী হাসান ও সভাপতি কামাল উদ্দিন প্রমুখ।

এমএইচএম/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন