ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে হবে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:০৩ পিএম, ০৮ জুলাই ২০১৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়া হবে। সমাজসংস্কারমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অাহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

pm

অাজ (রোববার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অান্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা অনুষ্ঠান ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬’-এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এবার সম্মাননার জন্য তৈরি মেডেলের সোনার ক্যারেটও বেড়েছে। নিয়মিতই ১৮ দেয়া হলেও এবার এটা হচ্ছে ১৯ ক্যারেট।

pm

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এবং তথ্যসচিব অাবদুল মালেক।

pm

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমনভাবে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে হবে যাতে সমাজের চিত্র ফুটে ওঠে। সমাজের প্রতিচ্ছবি এমনভাবে তুলে ধরতে হবে যাতে সে ছবির মধ্যে ভালো মেসেস থাকে, যার মাধ্যমে মানুষ কিছু জানতে পারে শিখতে পারে। অাধুনিক ছবি নির্মাণ করতে হবে। বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণ করলে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

এক নজরে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০১৬ তালিকা :
আজীবন সম্মাননা : যৌথভাবে পাচ্ছেন চলচ্চিত্রের দুই কিংবদন্তি ববিতা ও ফারুক।
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র : অজ্ঞাতনামা
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র : ঘ্রাণ
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র : জন্মসাথী
শ্রেষ্ঠ পরিচালক : অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র : চঞ্চল চৌধুরী, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র : যৌথভাবে তিশা, অস্তিত্ব ও কুসুম শিকদার, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রাভিনেতা : যৌথভাবে আলীরাজ, পুড়ে যায় মন ও ফজলুর রহমান বাবু, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রাভিনেত্রী : তানিয়া আহমেদ, কৃষ্ণপক্ষ।
শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা : শহীদুজ্জামান সেলিম, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী : আনুম রহমান খান সাঁঝবাতি, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক : ইমন সাহা, মেয়েটি এখন কোথায় যাবে।
শ্রেষ্ঠ গায়ক : ওয়াকিল আহমেদ, ছবি- দর্পণ বিসর্জন, গান- অমৃত মেঘের বারি।
শ্রেষ্ঠ গায়িকা : মেহের আফরোজ শাওন, ছবি- কৃষ্ণপক্ষ, গান- যদি মন কাঁদে।
শ্রেষ্ঠ গীতিকার : গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ছবি- মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ সুরকার : ইমন সাহা, গান- বিধিরে ও বিধি।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার : তৌকীর আহমেদ, অজ্ঞাতনামা।
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা : রুবাইয়াত হোসেন, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার : অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক : ইকবাল আহসানুল কবির, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শিল্পনির্দেশক : উত্তম গুহ, শঙ্খচিল।
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক : রাশেদ জামান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক : রিপন নাথ, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা : যৌথভাবে সাত্তার, নিয়তি ও ফারজানা সান, আয়নাবাজি।
শ্রেষ্ঠ মেকাপম্যান : মানিক, আন্ডার কনস্ট্রাকশন।

এফএইচএস/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন