এগারো সিটিতে বকেয়া গৃহকর ৭২৯ কোটি টাকা
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ১১ সিটি কর্পোরেশনের কাছে সরকারের বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৭২৯ কোটি টাকার বেশি। বকেয়ার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বকেয়া রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের।
রোববার ঢাকা-১১ আসন থেকে নির্বাচিত সরকার দলীয় এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ তথ্য জানান। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে এগারো সিটি কর্পোরেশন রয়েছে। এসব সিটির অধীনে অসংখ্য আবাসিক ভবন রয়েছে। সেগুলো থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করে থাকে সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের খুব বেশি সাফল্য নেই নগর কর্তৃপক্ষের।
সংসদে মন্ত্রীর তথ্যে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৯৭ কোটি টাকা। সেখানে ঢাকা উত্তর সিটিতে বকেয়ার হার ২৪০ কোটি ৭২ লাখ ৪১ হাজার ৮৬১ টাকা। একইভাবে, চট্টগ্রাম সিটিতে ২০৩ কোটি ৫৪ লাখ ২৫ হাজার ৪২৩ টাকা, রাজশাহীতে ৮ কোটি ৭৯ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৬ টাকা, খুলনায় ৬৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৪৫০ টাকা, সিলেটে ৩২ কোটি ৬১ লাখ ২১ হাজার ৮২৭ টাকা, বরিশালে ৯ কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৭৬১ টাকা, নারায়ণগঞ্জে ২০ কোটি ৭৯ লাখ ৩ হাজার ২৩০ টাকা, কুমিল্লায় ৯৭ লাখ ৯১ হাজার ৭১১ টাকা, রংপুরে ১০ কোটি ৫১ লাখ ৮২ হাজার ১৫০ টাকা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে ৩৭ কোটি ৬৮ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৭ টাকা ১১ সিটিতে মোট বকেয়া গৃহকরের পরিমাণ ৭২৯ কোটি টাকার বেশি।
মন্ত্রী বলেন, বকেয়া কর আদায়ের জন্য নগর কর্তৃপক্ষ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে অর্থবছরের শুরুতে প্রতিটি গৃহে বিলবহি প্রেরণ করা হয়েছে। অতঃপর নোটিশ, তাগিদ নোটিশ প্রেরণসহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট খেলাপি করদাতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। গৃহ মালিকদের সচেতন করার জন্য মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এছাড়া বড় ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয়ভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর লক্ষ্যে গৃহকর বাবদ বকেয়া আদায়ে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
এইচএস/এমআরএম/জেআইএম