ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কোটা সংস্কারের আগে ২৯ বছরের হিসাব চায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১০ পিএম, ০৭ জুলাই ২০১৮

১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে, পরবর্তীতে ২০০১ সালের পর আবারো ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’।

শনিবার (৭ জুলাই) জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত মানবন্ধন ও সমাবেশে তারা এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরবর্তীতে ২০০১ সালের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবারো ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী ২৯ বছর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিষ্পেশিত হয়েছে। কোটা সংস্কার বা বাতিলের আগে এ ২৯ বছরের হিসাব দিতে হবে। এ ছাড়া ৩০ শতাংশ কোটা তাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে হলেও এ কোটা বহাল রাখা জরুরি।

তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি চাকরিতে কোটা থাকলেও যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মৌখিক পরীক্ষায় বাদ দেয়া হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারি, লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদণ্ড হতে পারে না।

বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনও হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকার রয়েছেন। তারা বলেন, কোটা বাতিলের সময় এখনও আসেনি। এখনও মুক্তিযোদ্ধাদের হাজার হাজার সন্তান চাকরি পায়নি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানাবো।

সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল না করা হলে ৭১-এর পরাজিত শক্তি ডুগডুগি বাজাবে। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান-অপদস্থ করতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার ফলে তারা আজ উল্লাসে মেতে উঠেছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার বিকল্প নেই উল্লেখ করে ৯ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে এম জামাল উদ্দিন, শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের কন্যা ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জাতীয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. আজিজুল হাসান (এমরান), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সংগঠনের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এনামুল হক, দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেল, কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়ের আহমেদ, লামিয়া খানম, দিলরুবা লাকী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রজন্ম পরিষদের আহ্বায়ক আশিকুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি কেএম আবদুল্লাহ সোহাগ।

এফএইচ/এএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন