বঙ্গবন্ধু-১ : নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-বিসিএসসিএল চুক্তি কাল
স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ এর মাধ্যমে সমুদ্রগামী জাহাজকে উপগ্রহ সেবা দেয়া হবে। এ জন্য আগামীকাল (রোববার) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএসসিএল) মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সাগর ও স্থানীয় নদী/চ্যানেলগুলোতে থাকা জাহাজ আবহাওয়ার সঠিক তথ্য, দ্রুতগতির ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন সেবা পাবে। স্থলভাগের সঙ্গে থাকবে ২৪ ঘণ্টা যোগাযোগ। সাগরে অবস্থানকালেও জাহাজের নাবিক ও যাত্রীরা স্থলভাগের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এমনকি লাইভ টেলিভিশন দেখার সুযোগও মিলবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ৩৫ হাজারের বেশি অভ্যন্তরীণ ও ১১০টির বেশি গভীর সমুদ্রের বিদেশি জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় বিচরণ করে। বর্তমানে এসব জাহাজের সঙ্গে ওয়্যারলেসে যোগাযোগ করা হয়। এতে প্রায়ই যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। স্যাটেলাইট-সেবায় যুক্ত হলে জাহাজগুলো ২৪ ঘণ্টা স্থলভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় স্পেসএক্সের লঞ্চিং স্টেশন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্যাটেলাইটটি সম্পূর্ণ চালু হওয়ার পর এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের গ্রাউন্ড স্টেশনে হস্তান্তর করবে এটির ফরাসি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান থ্যালেস অ্যালেনিয়া।
বাংলাদেশ সময় গত ১১ মে রাতে রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে মহাকাশের পথে উড়ে যায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এরপর দুটি ধাপে এর উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া শেষ হয়। এর মধ্যে উৎক্ষেপণ স্থান থেকে ৩৬ হাজার কিলোমিটার দূরে কক্ষপথে যাওয়ার পথে ৩৫ হাজার ৭০০ কিলোমিটারই পার হয় কয়েক মুহূর্তে। রকেটের স্টেজ-২ খুলে গেলে এটির গতি ধীর হয়ে যায়।
উৎক্ষেপণের টানা ১০ দিন পর ২১ মে নিজ কক্ষপথে পৌঁছে স্যাটেলাইটটি। ২১ মে সন্ধ্যায় রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় স্থাপিত গ্রাউন্ড স্টেশন সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে। আর ২২ মে উপগ্রহটি আংশিক (পার্শিয়াল) সংকেত পাঠাতে শুরু করে। গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে ওই সংকেতটি পাওয়া যায়।
এমএমজেড/এমএস