পিজিআরের সেবার কথা চিরজীবন মনে থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
পিজিঅার ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অামার জন্য অাপনারা যে কষ্ট করেছেন তাতে অাপনাদের কথা অামার চিরজীবন মনে থাকবে। যে কোনো পরিবেশে অত্যন্ত কষ্ট করে কাজ করেন অাপনারা। অামার সঙ্গে চলার কারণে অাপনারাও ঝুঁকির মধ্যে থাকেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অায়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে ভোট, জনগণ ভোট দিলে হয়তো সরকার গঠন করবো, না হলে নেই। সরকারে অাসি অার না অাসি অাপনাদের জন্য দোয়া থাকবে। যেহেতু অাপনারা শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সেহেতু নির্দেশ মেনে শৃঙ্খলা বজায় রেখে কাজ করবেন।
তিনি বলেন, সরকার গঠন করার পর থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া প্রথম সরকারে অাসার পর সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়েছি, যাতে সেনাবাহিনী উপযুক্তভাবে গড়ে ওঠে। অান্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছি। বাংলাদেশের মানুষ যেন মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে, সে জন্য দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলছি।
শেখ হাসিনা বলেন, অামাদের সঙ্গে কাজ করা মানে ঝুঁকির মধ্যে থাকা। এ কারণে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় অাসার পর অাপনাদের জন্য (পিজিঅার) ঝুঁকি ভাতা বৃদ্ধি করেছি। প্রয়োজন অনুযায়ী লোকবল বাড়িয়েছি। অাপনাদের অনেক সমস্যা অামরা সমাধান করেছি। অামরা তো একই পরিবারের সদস্য। অাপনাদের জন্য কাজ করা এটা অামার দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, অামাকে হেনস্তা করার জন্য, দুর্নীতিবাজ বানানোর জন্য অনেক চেষ্টা চলেছে। শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের একটা এমডি পদের জন্য জাতীয় স্বার্থের বিরোধিতা করেছে কেউ কেউ। তাদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। দুর্নীতি তারা প্রমাণ করতে পারেনি। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে অাসিনি। এসেছি মানুষের ভাগ্য গড়তে। মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় পদ্মা সেতুর সিদ্ধান্ত সারাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এফএইচএস/আরএস/পিআর