ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাসপোর্ট সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নতুন ১৬ অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০:১৩ এএম, ০৪ জুলাই ২০১৮

পাসপোর্ট একটি অন্যতম সেবা। নানা কারণে মানুষ দেশের বাইরে যাচ্ছে। সেজন্যই পাসপোর্ট সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে যাতে ভিড় না করে, সেজন্য জেলা পর্যায়েই এসব সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

এ লক্ষ্যে ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপন' প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১৬ জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ১৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। এর মধ্য দিয়ে জনগণের কাছে সুবিধাজনক স্থান থেকে উন্নতমানের পাসপোর্ট সেবা দেয়া সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে প্রকল্পটি। চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এবং গণপূর্ত অধিদফতর। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা জানান।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও জানান, জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্পেশালাইজড জুট টেক্সটাইল মিল নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ৫১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এটি নির্মাণ করা হলে পোশাক শিল্পের জন্য তিন স্তরের জিএসপি সুবিধা আদায় করার জন্য পরিবেশবান্ধব সংমিশ্রিত সুতা ও কাপড় উৎপাদন করা যাবে। এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাকরির সুযোগ তৈরি এবং বহুমুখী পণ্য উৎপাদন ও রফতানিতে প্রকল্পটি সহায়ক হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পাট ও তুলার সংমিশ্রণে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতা উৎপাদন করে সুতা থেকে কাপড় ও পোশাক তৈরি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব। পাশাপাশি দেশীয় তৈরি পোশাক শিল্পকে সাশ্রয়ী মূল্যে সুতা ও কাপড় সরবরাহ করে তিন স্তরের জিএসপি সুবিধা অর্জনের সহায়তা করা সম্ভব হবে।

একনেকের আরেকটি প্রকল্প হলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি র্কপোরেশনের আওতায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ। ঢাকার ওয়ার্ড পর্যায়ে সামাজিক আচার অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিনোদনমূলক, সামাজিক কল্যাণ, সামাজিক যোগাযোগের সুবিধা প্রদান করে জনসেবা ত্বরান্বিতকরণ; সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের কমিউনিটি সেবা প্রদান; কমিউনিটি সেন্টারকে সমাজ উন্নয়ন ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যোগসূত্র হিসেবে তৈরি করা; প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি আশ্রয় স্থলের ব্যবস্থা করা এবং এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৬৮.৭৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) ১৮৮.১৩ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৮০.৬৩ কোটি টাকা।

ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে সাইক্লোট্রন, পেট-সিটি এবং ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিকেল ফিজিক্স (আইএনএমপি), সাভারে সাইক্লোট্রন সুবিধাদি স্থাপন প্রকল্প, পরমাণু প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ক্যান্সার রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা প্রদান; বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দক্ষ নিউক্লিয়ার অনকোলোজিস্ট, মেডিক্যাল ফিজিসিস্ট ও নিউক্লিয়ার মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট তৈরি; চিকিৎসা ক্ষেত্র এবং বিবিধ গবেষণায় ব্যবহৃত রেডিও আইসোটোপ উৎপাদনের জন্য সাইক্লোটন সুবিধাদি স্থাপন; পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাইরয়েড, কিডনি, লিভার, বোন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং এ-সংশ্লিষ্ট গবেষণার কাজ করা; এবং পরমাণু চিকিৎসা ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিকের উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখাই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

একনেকের অন্যান্য প্রকল্পগুলো হলো স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ (ফেজ-১)’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ বিভাগের ‘ঢাকার গুলশানে ১৩২/৩৩/১১ কেভি ভূ-গর্ভস্থ গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প, বিদ্যুৎ বিভাগের ‘মোল্লাহাট ১০০ মে. ও. সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়ন’ প্রকল্প, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘সোনাইমুড়ী-সেনবাগ-কল্যান্দী-চন্দেরহাট-বসুরহাট সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প।

সভায় অনুমোদিত ৮টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ৬ হাজার ৪৯৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩ হাজার ২৭৯ কোটি ২২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৩৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

একনেক সভায় মন্ত্রীবর্গসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একনেক শেষে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

এমএ/এসআর/আরআইপি

আরও পড়ুন