ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রয়োজনে চেয়ার ছাড়বেন ইসি মাহবুব তালুকদার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৩ পিএম, ০৩ জুলাই ২০১৮

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার বলেছেন, শপথ রক্ষায় প্রয়োজনে চেয়ার ছাড়ব। যদি নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হয় তাহলে আমাকে কোনো নোট অফ দিতে হবে না। আর যদি সেটা আমার বিবেক অনুযায়ী সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় না হয় তাহলে একটা কেন দশটা নোট অব ডিসেন্ট দেব।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মঙ্গলবার বিকেলে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মাহবুব তালুকদার বিএনপির দেয়া তালিকা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন। সম্প্রতি গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইসি কী করতে পেরেছে আর কী করতে পারেনি- তা খতিয়ে দেখতে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি চাই দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণের জন্য একটা সুষ্ঠু ও সার্থক নির্বাচন করা। যে নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র তার নিজের মহিমায় বিকশিত হবে। গণতন্ত্র কেউ আমাদের তৈরি করে দেবে না। একটি গণতান্ত্রিক দেশের অগ্রযাত্রার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন অপরিহার্য। আমার মনে হয় এ বক্তব্যের সঙ্গে কেউ দ্বিমত পোষণ করবেন না।’

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শপথের বাইরে তো আমরা যাব না। শপথ নিয়েছি সংবিধান অনুযায়ী, সংবিধানের বাইরে যাব না। যাওয়ার কোনো প্রয়োজনও বোধ করি না। কারণ সংবিধান আমাদের অপরিমেয় শক্তি দিয়েছে, শক্তি নিয়ে বসে থাকলে হবে না, সেই শক্তি প্রয়োগই হচ্ছে বড় কথা। শক্তি প্রয়োগ না করে যদি বলি যে, আমি এটা করব, সেটা করব- তাহলে তো হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ হচ্ছে আমাদের সহায়ক শক্তি। পুলিশের ওপর আমাদের নির্ভর হতেই হয়। তারা যাতে আমাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে থাকে সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চান, এটা গণমাধ্যমে এসেছে। তার কথাটা মেনে নিয়ে কেন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করব না, কেন প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হবে? এটা আমি বুঝি না।’

গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে কবে নাগাদ প্রতিবেদন দেয়া হবে- সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে কেউ সময় বেঁধে দেয়নি। তবে আমি গাজীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সাতদিন সময় দিয়েছি। আশা করি দশদিনের মধ্যে গাজীপুর নির্বাচনের মোটামুটি একটি চিত্র পেয়ে যাব। তবে আমি কমিশনের পাঁচজনের একজন। আমার ক্ষমতা সীমিত। আমি যা কিছুই করি না কেন, তা কমিশন সভায় উপস্থাপিত হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে সেটি আলোর মুখ দেখবে কিনা।

এইচএস/এমএআর/জেআইএম

আরও পড়ুন