বিমানের কাঙ্ক্ষিত যাত্রী পাওয়া যায় না আমেরিকায়
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল বলেছেন, দীর্ঘ দেড় যুগ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি আমেরিকার ফ্ল্যাইট চলাচল বন্ধ থাকার পর আবারও চলবে। আমি আমেরিকাতে সরাসরি ফ্ল্যাইট চালু করতে আগ্রহী। তবে আমাদের বোয়িং ৭৭৭ বিমান যদি আমেরিকায় যায় তাহলে ফিরে আসার জন্য যে পরিমাণ যাত্রী প্রয়োজন আমরা তা পাই না। যাত্রী পাওয়ার জন্য সেখানে অর্থাৎ আমেরিকায় তিন থেকে চার দিন বসে থাকতে হয়। এ জন্য আমাদের বিমানের ক্রুসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের আমেরিকাতেই থাকতে হয়। এতে অনেক খরচ ও লোকসান হয়। আমরা ছোট অর্থাৎ দু আড়াই শ যাত্রী বহনযোগ্য বিমান ক্রয় করার পর অনতিবিলম্বে আমেরিকাতে সরাসরি ফ্ল্যাইট চালু করার চেষ্টা করবো।
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ ছাড়া মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও মো. মামুনুর রশিদ কিরণের পৃথক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে জানান, আগে লোকসানে চললেও পরপর তিন বছর অর্থাৎ ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যথাক্রমে ২৭২ দশমিক ২৩, ২৭৫ দশমিক ৯৯ ও ৪৬ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠান। আরও বেশি লাভজনক করতে নতুন নতুন রুট চালু করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানের আয়ের চেয়ে ব্যয় কম হয়েছে। এ হিসাবে ওই অর্থবছরে বিমানের ৪ হাজার ৫৫১ দশমিক ৫২ কোটি টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ৫০৪ দশমিক ৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ লাভের পরিমাণ ৪৬ দশমিক ৭৬ কোটি টাকা।
এইচএস/জেডএ/এমএস