ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কোটার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে সময় লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০২ জুলাই ২০১৮

সরকারি চাকরিতে কোটার নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত করতে সময় লাগতে পারে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছেন, ‘বিষয়টি তত সহজ নয় জটিল আছে। এটা অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে।’

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পর এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় রোববার (১ জুলাই) থেকে ফের আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হচ্ছেন। রোববার ছাত্রলীগের এক নেতার মামলায় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কোটার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সক্রিয় বিবেচনাধীনে আছে। আমাদের নিচের লেভেলে এখনও এটা ট্রান্সমিটেড হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের...আসলে আপনারা বিষয়টি যত সহজভাবে বিশ্লেষণ করছেন তত সহজ নয় জটিল আছে। এটা অনেক বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত আসবে, সেই আলোকে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করব।’

কতদিনে এটা চূড়ান্ত হবে- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের পক্ষে অনুমান করা একটু কঠিন।’

এটা কি দীর্ঘমেয়াদি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জি, জি, একটু সময় লাগবে মনে হচ্ছে।’

কমিটির বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করিনি। হবে, আশা করি খুব দ্রুতই হবে, ইনশাআল্লাহ।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে। বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও উপজাতি কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে। এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধীদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।

এই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধও করছিলেন তারা।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল বুধবার জাতীয় সংসদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে যখন এতকিছু, তখন কোটাই থাকবে না। কোনো কোটারই দরকার নেই। যারা প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দেব।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

আরএমএম/এমবিআর/এমএস

আরও পড়ুন