‘জামদানি আমাদের গর্বের ধন, ঐতিহ্যের অংশ’
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, জামদানি বয়নশিল্প আমাদের গর্বের ধন ও ঐতিহ্যের অংশ। এটিকে জিইয়ে রাখা ও সমৃদ্ধ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। জামদানি বয়নশিল্পীরা তাদের দুই হাতের ছোঁয়ায় যে অসাধারণ শিল্পকর্ম তৈরি করেন- তা এককথায় অসাধারণ, তার কোনো তুলনা হয় না।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ‘ঐতিহ্যবাহী জামদানি নকশা’ শীর্ষক অনন্য নকশা গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হয়।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, জামদানি শিল্প বিশ্বের দরবারে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এর ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। অথচ জামদানি শিল্পীরা ভালো অবস্থায় নেই। সরকার কৃষি, বিদ্যুৎ, শিক্ষাসহ বিভিন্ন সেক্টরে ভর্তুকি দিচ্ছে। একইভাবে সরকারিভাবে জামদানি বয়নশিল্পীদের ভর্তুকি দেয়া যায় কি না- তা ভেবে দেখা হবে।
তিনি বলেন, জামদানি বয়নশিল্পীদের সমস্যা নিরসন, স্বার্থ সংরক্ষণ তথা জামদানি শিল্পের উন্নয়ন-প্রসারে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ কারুশিল্প পরিষদের সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। এ খাতে প্রয়োজনীয় গবেষণা কাজে সহযোগিতা করবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট।
গ্রন্থটি সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, গ্রন্থটির প্রধান গবেষক চন্দ্র শেখর সাহা ও বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদের প্রকল্প সমন্বয়ক শাহিদ হোসেন শামীম।
গ্রন্থের পর্যালোচনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার শিহাব শাহরিয়ার।
উল্লেখ্য, প্রকল্পে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সংস্কৃতি সংরক্ষণ তহবিল।
এমইউ/জেডএ/এমএস