ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ : জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে দুদকের অভিযান

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ০১ জুলাই ২০১৮

রাজধানীর মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে গত অর্থবছরে আট কোটি টাকা ফেরত গেছে। দেশের একমাত্র সরকারি স্যালাইন উৎপাদনকারী এ প্রতিষ্ঠানটিতে গত এক বছরেরও বেশি সময় যাবত জীবনরক্ষাকারীসহ বিভিন্ন ধরনের স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকার পরও স্যালাইন উৎপাদনের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল না কেনায় উৎপাদন বন্ধ থাকে।

অভিযোগ উঠেছে, উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে স্যালাইন উৎপাদন বন্ধ রেখে বেসরকারি স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা চাঙা করার সুযোগ করে দেয়া হয়। এক বছর স্যালাইন উৎপাদন বন্ধের নেপথ্যে কারণ খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

জানা গেছে, দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) জনসাধারণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ (রোববার) দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আকস্মিক অভিযান চালায়।

উপ-পরিচালক সাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল সরকারি এ প্রতিষ্ঠানে সকাল ১১টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিন পর্যবেক্ষণ করে ভয়াবহ অনিয়মের সন্ধান পায়। এ সময় উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানকালে পরিচালক ড. আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ স্বীকার করেন, কাঁচামাল কিনতে না পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, গত অর্থবছরে এ প্রতিষ্ঠানের বাজেটের আট কোটি টাকা ফেরত গেছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটিতে গত এক বছর ধরে স্যালাইন উৎপাদন প্রায় বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে কাঁচামাল ক্রয় বন্ধ রাখায় স্যালাইন উৎপাদন শূন্যের কোটায় পৌঁছেছে।

এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হলেও কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নয়। অবিলম্বে এ প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গোচরে আনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো যৌক্তিক কারণ ও ভিত্তি ছাড়া উৎপাদন বন্ধ রাখাও এক ধরনের দুর্নীতি। অনুসন্ধানে এ দুর্নীতি প্রমাণিত হলে দুদক আইনানুগ ব্যবস্থার পথে যাবে।’

এমইউ/বিএ/পিআর

আরও পড়ুন