গুলশানের সড়কেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেন রবিউল-সালাউদ্দিন
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর সড়কে মাথা উঁচু করে দাঁড়ালেন হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় নিহত গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও তৎকালীন বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন খান।
শুলশানের ওই এলাকার আজাদ মসজিদের পাশের সড়কে তাদের স্মরণে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ভাস্কর শিল্পী মৃণাল হক। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘দীপ্ত শপথ’।
রোববার (১ জুলাই) সকালে ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। উদ্বোধন শেষে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রবিউল ও সালাহউদ্দীনের স্ত্রী এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, রবিউল-সালাহউদ্দিন যে আত্মত্যাগ করেছেন তা পুলিশ ও দেশবাসী কখনো ভুলবে না। আর্টিসানের হামলার দিন নিজেদের জীবন বাজি রেখে তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন। আমরা তাদের স্মরণে এই ভাস্কর্য তৈরি করেছি। আর্টিসান ব্যক্তি মালিকানার জায়গা তাই আমরা ভাস্কর্যটিকে সেখান থেকে একটু দূরে গুলশান থানা এলাকার অধীনস্থ সরকারি জায়গায় স্থাপন করেছি।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিদের হামলায় রেস্টুরেন্টের ভেতরে থাকা বিদেশিসহ ২০ জন এবং রেস্টুরেন্টের বাইরে জঙ্গিদের গুলিতে রবিউল ইসলাম ও সালাহ উদ্দিন মারা যান।
পরদিন ২ জুলাই হলি আর্টিসানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এতে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গিও নিহত হন।
বিসিএসের ৩০তম ব্যাচে উত্তীর্ণ হয়ে ২০১২ সালের জুন মাসে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন রবিউল। স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি। আর ৮ মাসের আরেক অনাগত সন্তান স্ত্রীর গর্ভে রেখেই আত্মত্যাগ করেন পুলিশের এ এসি।
বনানী থানার ওসি সালাহউদ্দিন ১৯৯১ সালের আগস্ট মাসে উপ-পরিদর্শক (এসআই-নিরস্ত্র) পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে পদন্নোতি পান। পূর্বে তিনি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), সিআইডি ও ডিএমপির কোতওয়ালী ও মিরপুর থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী রেমকিম, ১৪ বছরের এক কন্যা ও ৬ বছরের এক পুত্র সন্তান রেখে গেছেন।
এআর/আরএস/আরআইপি