হাওরবাসীর জন্য পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা ও উন্নয়নের দাবি
হাওর অঞ্চলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব উল্লেখ করে পিছিয়ে পড়া হাওরবাসীর উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে অক্সফাম সিএনআরএস ও প্রতীক ও নামে কয়েকটি সংগঠন।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'চ্যালেঞ্জ অব সাসটেইনেবল লাইভলিহুড অব হাওর কমিউনিটিস অব বাংলাদেশ : ওয়ে ফরওয়ার্ড' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়।
এ সময় আলোচকরা বলেন, হাওরাঞ্চলে যেসব মূল্যবান সম্পদ রয়েছে সেগুলো কাজে লাগিয়ে একটি সমৃদ্ধ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা সম্ভব পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগের অভাবে এখনও পিছিয়ে আছে হাওরবাসী। নানা দুর্ভোগ নিয়ে তারা শিক্ষা, চিকিৎসা থেকে অনেক দূর পিছিয়ে রয়েছে। শিক্ষায় পিছিয়ে থাকায় তারা মূলস্রোতধারায় কম আসতে পারছে। এ জন্য প্রয়োজন এই অঞ্চলের মানুষের জন্য বিশেষ প্রকল্পভিত্তিক পরিকল্পনা প্রণয়ন।
তারা বলেন, হাওরাঞ্চলে পরিকল্পিত কোনো রাস্তা নেই। ফলে রাস্তা ঘাটের অভাবে যোগাযোগ ও ফসল তোলার সময় অনেক ক্ষতি হয়। হাওরে উৎপাদিত ফসল ঠিকমতো ঘরে তুলতে পারলে পাল্টে যাবে তাদের অর্থনীতির চেহারা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে সবদিক থেকে পিছিয়ে আছে হাওর এলাকা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি হাওরের মানুষ। আজও পিছিয়ে আছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সব বিষয়ে তারা বৈষম্যের শিকার। পানি থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে হাওরে বছরে একটি ফসল হয়। যদি পরিকল্পিতভাবে ২/৩টি ফসল উৎপাদন করা যায়, তাহলে হাওরাঞ্চল দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, হাওর উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হলেও তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। দেশের অন্য এলাকাগুলোতে যেমন উন্নয়ন হয়েছে হাওর এলাকা সেই তুলনায় কিছুই পায়নি। হাওর নিয়ে যারা কাজ করেন তারা সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। হাওরের সম্ভাবনা জাতির কাছে তুলে ধরতে হবে। যে কোন ভাল প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী ব্যাপকভাবে উৎসাহ দেন। তাই হাওর উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টরা হাওরের উন্নয়ন বিষয় পরিকল্পনা-প্রকল্প প্রস্তুত করে জমা দেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হাওর অঞ্চল একটি সম্ভাবনাময় দিক হতে পারে।
আলোচনা সভায় সিএনআরএসের পরিচালক আনিসুল ইসলাম, হাওর উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মজিবুর রহমানসহ আয়োজক সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এমএমজেড/পিআর