ধনী-গরিবের আমের বাজারে দামের ব্যবধান দ্বিগুণ
আমের ভরা মৌসুম। রাজধানীতে বাজার ভেদে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে আম। আমে কেমিক্যাল প্রয়োগের কথাটি ছড়ানোর পর একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে। তারা কেমিক্যাল ফ্রি কথাটি যুক্ত করে বাড়তি দামে আম বিক্রি করছে।
সোমবার সরেজমিনে রাজধানীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে দোকানে টাটকা আম কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই আম আগোরা, মীনা বাজার ও অন্যান্য সুপারশপে বিক্রি করা হচ্ছে কেজিতে ৯০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। এসব সুপারশপের ক্রেতা সাধারণত ধনী লোক।
সোমবার রাতে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের একটি সুপারশপে হিমসাগর আম বিক্রি করা হয় ১১০ টাকা কেজি। একই জাতের আম সাধারণ বাজারে ৮০ টাকা এবং রাস্তার দোকানে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
আমের দাম এত বেশি কেন? জানতে চাইলে সুপারশপটির বিক্রয়কর্মী সাজ্জাদ জানান, আমাদের আম আসে সরাসরি রাজশাহীর বাগান থেকে এবং শতভাগ কেমিক্যালমুক্ত।
সুপারশপগুলোতে ‘হাড়িভাঙা’ আম কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। কাঁচা ল্যাংড়া আম কেজি ১৩০ টাকা, আর পাকা ল্যাংড়া ১২০ টাকা। ‘রূপালী’ আমের কেজি ৯৮ টাকা এবং সাধারণ স্বাদের আম বিক্রি করা হচ্ছে কমপক্ষে ৮০ টাকা দরে। মূল্য তালিকা টানিয়ে দেয়া রয়েছে, দামাদামির কোনো সুযোগ নেই।
কচুক্ষেত বাজারের প্রধান সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ফল বিক্রি করছেন রফিক মোল্লা। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন আমের চাইতে কেমিক্যালের দাম বেশি। তাই নিশ্চিত মনে কেনেন। ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করতেছি। কেনা কমে তাই বিক্রিও করতেছি কম দামে।’
দাম কম দেখে এক সঙ্গে ১০ কেজি আম কেনেন মোহাম্মদ আলী নামে এক ক্রেতা। এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, রোজায় আম খাইনি কেমিক্যালের ভয়ে। এখন ভড়া মৌসুম এবং দাম কম দেখে মন ভরে আম খাচ্ছি। তিনি ১০ কেজি আম কেনেন ৫০০ টাকায়।
আরএম/জেডএ