নিবন্ধন ছাড়া সার বিক্রির শাস্তি বাড়ছে
নিবন্ধন ছাড়া সার বিক্রির শাস্তি বাড়িয়ে ‘সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৯ মার্চ এই আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
২০০৬ সালের আইন সংশোধন করে নতুন আইনটি করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নতুন আইনে জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটিকে ১৫ সদস্য থেকে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিবন্ধন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন বা বিক্রি করলে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই অপরাধের জন্য আগে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড ছিল।’
শফিউল আলম বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ তা ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মিথ্যা মামলা করলে মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি বা যিনি মামলা করিয়েছেন উভয়ের একই সাজা হবে।’ তবে কী সাজা হবে তা জানাননি তিনি।
দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন চূড়ান্ত অনুমোদন
‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮’ এর খসড়াও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
এই আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্যের সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হবে। চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সরকার নিয়োগ দেবে। চাকরির মেয়াদ ও শর্তাবলীও সরকার নির্ধারণ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি, কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করাসহ দশটি কাজ করবে। পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি আছে।’
খসড়া আইন অনুযায়ী গভর্নিং বডিকে বছরে কমপক্ষে একটি সভা করতে হবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘কার্যনির্বাহী কমিটি নামে আরেকটি ছোট কমিটি থাকবে। ১৭ সদস্যের এই কমিটির প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। কার্যনির্বাহী কমিটি বছরে কমপক্ষে তিনটি সভা করবে।’
আরএমএম/জেএইচ/পিআর