ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উন্নত দেশ হলে জিএসপি বন্ধ হয়ে যাবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৭ পিএম, ২৩ জুন ২০১৮

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নত দেশ হলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমরা যে সুযোগ-সুবিধা পাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিউটি ফ্রি মার্কেট অ্যাক্সেস পাই, ইন দ্য নেম অব জিএসপি- এইটা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছি। এইটা আমরা জিএসপি প্লাস হিসেবে আখ্যায়িত করে সেটা তাদের কাছে পাব।

শনিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমরা একটা গণমুখী বাজেট দিয়েছি। যে বাজেটের সুবিধা সব মানুষ ভোগ করবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্প রক্ষা করার ব্যাপারে দুই/একটা ব্যত্যয় আছে। সেটা আমি ব্যক্তিগতভাবে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। সামগ্রিকভাবে একটি চমৎকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু মধ্যম আয়ের দেশ হবে না, বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। উন্নত দেশ হলে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমরা যে সুযোগ-সুবিধা পাই, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিউটি ফ্রি মার্কেট অ্যাক্সেস পাই, ইন দ্য নেম অব জিএসপি- এইটা হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক এফটিএ অর্থাৎ ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট করতে আমরা যাচ্ছি। সবদিক থেকেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।

তিনি বলেন, কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনডেক্সে তিনটা ক্রাইটেরিয়ায় পৃথিবীর অনেক দেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। কিন্তু কোনো দেশ একসঙ্গে তিনটা পূরণ করতে পারে নাই। আমরা মানবসম্পদ উন্নয়নে যা চাহিদা ৬৬ তার থেকে বেশি ৭২। আমাদের ইকোনমিক ভার্নাবেলিটি দরকার ৩২, আমাদের ২৬। তিনটাই আমরা অতিক্রম করেছি।

তোফায়েল বলেন, যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন আজ তা দক্ষ এবং সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা হবো ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা। শেখ হাসিনার লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর মতো। আমরা ইতোতিমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছি।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল। এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল; যাতে আমরা বিজয়ী হয়েছিলাম। ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে আমরা জয়ী হয়েছিলাম। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু সে কথা বলেছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হয়েও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। চার হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জেল-জুলুম অত্যাচার সহ্য করে তার লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল। তার লক্ষ্য ছিল, ৬-দফা দেয়ার পর আমাদের বলেছিলেন সাঁকো দিলাম। এই সাঁকো পেরিয়ে একদিন আমরা স্বাধীনতায় যাব। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। একটি স্বাধীনতা, অপরটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। একটি তিনি করে গেছেন, আরেকটি তিনি করতে পারেন নাই। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নিজের হাতে নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে, সততার সাথে তিনি আজকে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করতেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাজনীতি করেন। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই সাড়ে ৯টি বছরে বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে গেছেন। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে ভিশন-২০২১ ঘোষণা করেছিলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান পুনর্বাসিত করেছিলেন। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন। আর তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে একটা ভোটারবিহীন নির্বাচনে খুনি রশীদকে বিরোধীদলীয় নেতা করেছিলেন। ধিক, ঘৃণা। আজকে আমাদের নেত্রী সেই হত্যার বিচার শুরু করলেন। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে একটি নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলো। দেশটাকে আবার পেছনে নিয়ে গেল।

এইউএ/বিএ/জেআইএম

আরও পড়ুন