বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় জমেছে হাতিরঝিলে
ঈদুল ফিতরের কারণে রাজধানী বলতে গেলে অনেকটাই ফাঁকা। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেছেন রাজধানীর লাখো মানুষ। তবে হাতিরঝিলের দৃশ্য ঠিক উল্টো। ফাঁকা রাজধানীর মধ্যে ভিড় জমেছে হাতিরঝিলে। কেউ যুগলবন্দি হয়ে পরস্পরের হাত ধরে, কেউ পরিবারের সঙ্গে ঘুরছে হাতিরঝিল। বন্ধুরাও জুটেছে দল বেঁধে।
এ দৃশ্য দেখলে যে কারো মনে হবে নগরীর ঈদানন্দের প্রাণকেন্দ্র যেন হাতিরঝিল। গতবছরের ন্যায় এবার হাতিরঝিলে নেই কঠোর নিরাপত্তা।
রাজধানীবাসীর ঘুরতে যাওয়ার পছন্দের স্থান এখন এই বিনোদন কেন্দ্র। আর তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেল থেকে নগরবাসীর পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে গোটা হাতিরঝিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতিরঝিলে বাড়ছে বিনোদনপ্রেমীদের সংখ্যাও। বাড়তে থাকে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগির উৎসব।
নতুন সাজে প্রস্তুত করা হয়েছে হাতিরঝিল চক্রাকার বাস, ওয়াটার বাস। নামানো হয়েছে নতুন বোট। পরিচ্ছন্ন বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণ করে ঈদমুখর মানুষকে। ঈদ উপলক্ষে হাতিরঝিলে চলছে ঈদ প্যাকেজ। ৬০ টাকাতেই ওয়াটার বাসে ঘোরা যাচ্ছে ঝিল।
রোববার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হাতিরঝিলে মানুষের আনন্দে ছুটে চলা। কেউবা ঝিলমিল রেস্টুরেন্টে বসে চা কিংবা কফির চায়ে চুমুকে চুমুকে গল্পে-আড্ডায় মশগুল।
বনশ্রী থেকে স্ত্রী কন্যাসহ হাতিঝিলে এসেছেন মাহমুদুল হাসান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, পরিবার নিয়ে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে নগরীর বেশিরভাগ মানুষের গন্তব্য হয়ে উঠেছে এই বিনোদন কেন্দ্র। সন্ধ্যায় কাল এসে ফিরে গেছি। দুপুরের আগেই টইটুম্বর হয়ে যায় পুরো এলাকা। আজ তাই বিকেলেই চলে এসেছি। মেয়ের খুব ভালো লেগেছে হাতিরঝিলের বিশেষ আকর্ষণ ওয়াটার বাসে চড়ে।
এখানে আসা বিনোদনপ্রেমীরা কেউ রেলিং ধরে মুহূর্তটিকে স্মৃতিময় করে রাখতে সবাই মিলে ছবি তুলছেন, কেউবা প্রিয়জনকে নিয়ে এক ক্লিকে নিজেদের ফ্রেমবন্দি করছেন সেলফিতে। কেউ আবার ঝিলের পাড়ে বসে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠেছেন। সবার চোখে মুখেই ঈদ আনন্দের ছাপ।
চক্রাকার বাসের টিকিট দিয়েও সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কাউন্টারে কর্মরতরা। শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে আছে লাইনে। কিন্তু মানুষের চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা একেবারেই কম।
ফার্মগেট থেকে বন্ধুরা মিলে এসেছেন। চক্রাকার বাসে ঘুরে মেরুল বাড্ডা নেমে ওয়াটারবাসের জন্য অপেক্ষা। আজকের দিনে ঘোরাঘুরিতে মজা বলে জানান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অাশিকুর। তিনি বলেন, ‘ক’দিন বাদেই বদলে যাবে রাজধানী। ব্যস্ত ঢাকায় ঠাসা মানুষের পদচারণা দেখা দেবে। এখন তা নেই। এখন শুধু ঘোরাঘুরি করবো বন্ধুরা মিলে।’
পরিবারের সকলে মিলেও হাতিঝিলে এসেছেন অনেকে। আরজিনা বেগম নামে একজন বলেন, বছর জুড়েই ব্যস্ততা সংসারের কাজ। ঈদে নিজেরও মন চায় বেরিয়ে পড়ি। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাই গাড়ি নিয়ে হাতিরঝিল। এসেছি পরিবারের ৫ জন। ঘুরতে ভালো লাগছে। সন্ধ্যা অবধি থাকবেন পানির নৃত্যখেলা (ওয়াটার ডান্স) দেখার জন্য।
পুলিশ প্লাজার সামনের ওয়াটার বাসের ইনচার্জ তামিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিকেল থেকে ভিড় বাড়ছে। সন্ধ্যায় ভিড় হবে সবচেয়ে বেশি। আমাদের পক্ষ থেকে বিনোদনপ্রেমীদের জন্য সাজানো হয়েছে সবগুলো ওয়াটার বাস। রাতে ঝলমল করবে সব।’
জেইউ/এসএইচএস/পিআর
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ১৮ বছর পর দেশে ফিরলেন রবিউল, বাবাকে ছুঁয়ে দেখলো তিন সন্তান
- ২ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি
- ৩ সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জলের দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে
- ৪ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পটে রূপ দিতে চাই
- ৫ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি