ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দুধের সন্তান রেখেই রাজপথের আন্দোলনে শিক্ষক ফাতেমা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ১৭ জুন ২০১৮

ক্ষুধার জ্বালায় দুধের সন্তান রেখে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষক ফাতেমা খাতুন শিল্পী। স্বামী-সন্তান ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে রোদের মধ্যে শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন তিনি। সব কিছু ফেলে নিজের ন্যায্য দাবি আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

খুলনার বটিয়াঘাটা মুক্তিযোদ্ধা কলেজের শিক্ষক ফাতেমা খাতুন। স্থানীয় কলেজ থেকে মাস্টার্স পাশ করে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে শিক্ষাকতা করছেন। সংসারে তার দুই মেয়ে ও ছেলে। ছোট মেয়ের বয়স দেড় বছর। স্বামী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সবাইকে রেখেই তিনি গত ৭ দিন ধরে ঢাকায় এসে শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। প্রতিদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে মূল সড়কের পাশে শিক্ষকদের সঙ্গে স্লোগান দিয়ে যাচ্ছেন।

জাগো নিউজকে তিনি বলেন, জীবনের মায়া ছেড়ে ঢাকায় এসে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছি। নিজের সম্মান যদি না থাকে তবে কি হবে পরিবার আর সংসার দিয়ে? এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে এ শিক্ষক বলেন, যুগের পর যুগ বেতন ছাড়া চাকরি করছি। সন্তানদের কোনো চাহিদা মেটাতে পারি না। প্রতিদিন স্বামীর বাজে কথা শুনতে হয়। শাশুড়ি বকাঝকা করেন। ছেলে-মেয়েদেরও কিছু দিতে পারি না। শুধু দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষাকতা করে যাচ্ছি। লজ্জায় কোনো আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও বেড়াতে যাই না। এভাবে চিরদিন বেঁচে থাকা যায় না। তাই সব ছেড়ে বাধ্য হয়েই ঢাকায় এসে আন্দোলনে যোগ দিয়েছি।

Fatema-2

তিনি বলেন, আমাদের আর্তনাদ দেখে প্রধানমন্ত্রী এমপিভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই অনেক দিন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু তা বাস্তবায়নে কোনো সরকারি পদক্ষেপ না নেয়ায় আবারও আমরা আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছি।

তারমতো এমন অনেক নারী-পুরুষ শিক্ষক সন্তান পরিবার ছেড়ে এমপিওভুক্তির দাবিতে গত কয়েক দিন যাবত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। আজ এ কর্মসূচি পালনের ৮ম দিন চলছে।

উল্লেখ্য সারাদেশে ঈদের উৎসব পালিত হলেও এমপিওভুক্তির দাবিতে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী টানা ৮ দিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যচ্ছেন। গতকাল তারা প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তায় ঈদের জামায়াত আদায় করে পরে ভুখা মিছিল পালন করেন।

এমএইচএম/এমএমজেড/জেআইএম

আরও পড়ুন