চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়
আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। আনন্দে উৎসবে মুখরিত রাজধানী। বিনোদন কেন্দ্র সীমিত হওয়ায় বিনোদনপ্রেমীরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন। শনিবার দর্শনার্থীদের আগমনে মিরপুর চিড়িয়াখানাতেও সৃষ্টি হয়েছে উপচেপড়া ভিড়।
নারায়ণগঞ্জ থেকে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঈদের দিন চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন ব্যবসায়ী কনক মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বেলা ১১টায় পরিবার নিয়ে এসেছিলাম। সন্তানদের নিয়ে ঘুরে দেখালাম। ওদের জন্যই আসা।
তিনি বলেন, চিড়িয়াখানায় তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। তাই এক বা দুইবার এলে আর আসতে ইচ্ছা করে না। দিনদিন প্রাণী কমে যাচ্ছে। নতুন কোনো পশু-পাখি আনা হচ্ছে না। তাই চিড়িয়াখানায় কাঙ্ক্ষিত বিনোদন পাওয়া যায় না।
মিরপুরে বসবাসকারী সরকারি চাকরিজীবী মো. মাহমুদ পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, প্রায় ১০ বার এই চিড়িয়াখানায় এসেছি, আগেরমত এখন আর নেই। অনেক প্রাণী মারা গেছে। মূলত ছোট বাচ্চাদের জন্যই আসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজনে সাজানো হয়েছে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে। আনা হয়েছে নতুন কিছু প্রাণী। সিসিটিভিসহ চার স্তারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, আলাদা পার্কিং সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। বিনোদনের জন্য ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ সকাল থেকে চিড়িয়াখানায় ছুটে আসছেন। পুরো চিড়িয়াখা জুড়ে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়।
জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দিন প্রত্যাশার চাইতেও বেশি দর্শনার্থী হয়েছে। এদিন প্রায় ৭০ হাজার দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় আসেন। অন্যান্য ঈদের চাইতে এবার প্রস্তুতি অনেক ভালো নেয়া হয়েছে। চিড়িয়াখানায় অনেক প্রাণীর প্রজনন হয়েছে। তার মধ্যে জেব্রা, জিরাফ, ইমপাল, ৪০টি ইমু পাখির বাচ্চা, গয়াল, মায়া হরিণ, চিতা হরিণ, ময়ুর, লাভ বার্ডসহ কয়েকটি প্রাণী রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে নতুন করে কয়েকটি প্রাণী আনা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি আফ্রিকান সিংহ ও দুইটি কালো ভুল্লুক রয়েছে বলে জানান কিউরেটর।
এমএইচএম/জেএইচ/পিআর