পা ফেলার জায়গা নেই জুতার মার্কেটে
আর মাত্র দুই-তিন পরই মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম। ব্যতিক্রম ছিল না এলিফেন্ট রোডের জুতার মার্কেটে।
সরেজমিন বুধবার দুপুর ১২টায় এলিফেন্ট রোডের বাটা সিগন্যাল সংলগ্ন জুতার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আশপাশের জুতার মার্কেটগুলোর একই অবস্থা।
এলিফেন্ট রোডের চৌরঙ্গী মার্কেটে দেখা যায়, এখানে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড জেনেসকো, স্টিভ ম্যাডেন, নাইকি, অ্যাডিডাস, টিম্বারল্যান্ড, হুগো বসসহ নানা ব্র্যান্ডের জুতা পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই মার্কেটের বেশিরভাগই বাংলাদেশের তৈরি জুতা। থাইল্যান্ডের কিছু জুতাও রয়েছে।
মার্কেটটিতে ছেলেদের লোফার্স, স্যান্ডেলস, স্লিপারস, বুটস, রানিং সু, ক্যানভাস সু, বিজনেস সু, হাই টপস, বাস্কেটবল সু ও ক্যাসুয়াল সু বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম ৮০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত। চামড়ার স্যান্ডেল পাওয়া যাচ্ছে ১০০০-৩৫০০ টাকা পর্যন্ত।
সু কিনতে আসা শেখ জাহাঙ্গীর নামের এক ক্রেতা বলেন, ৫০০ টাকার জুতাগুলো ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি জুতার দামই বেশি রাখা হচ্ছে। বসুন্ধরাসহ বড় বড় মার্কেটে ৪-৫ হাজারের নিচে জুতাই নেই।
জেরিন সুজের প্রোপাইটার মো. জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, উৎসব ছাড়াও এলিফেন্ট রোডের জুতার দোকানে ভিড় থাকে। তবে এখন কোনোভাবেই কাজ থেকে ফুরসত মিলছে না। ঈদকে কেন্দ্র করে দিনরাত সবসময়ই ভিড় থাকে। গতরাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দোকান করেছি। চাঁদ রাতে সারারাত খোলা থাকবে। ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। দাম স্বাভাবিক সময়ের মতোই। জুতা কিনে ক্রেতারাও খুশি।
এ এইচ মুরাদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কম দামে ভালো গেটাপ ও ফিটিংসের কারণে প্রতিবছর এলিফেন্ট রোড থেকেই জুতা কিনি। তবে অনেকে বাংলাদেশি জুতাকে থাইল্যান্ড বা চায়নার বলে বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছে।
এক্সিলেন্ট সু’জের প্রোপাইটার জামাল হায়দার বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী এখানে সব ধরনের স্যান্ডেল রয়েছে। গতকাল থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। সব ধরনের জুতাই বিক্রি হচ্ছে তবে পুরুষ ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে স্লিপার টাইপ চামড়ার স্যান্ডেল। অনেকে দুই জোড়াও কিনছেন।
এলিফেন্ট রোডের মার্কেটগুলোতে মেয়েদের ফ্ল্যাট স্যান্ডেল ৮০০-৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। কারুকাজ করা স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ১০০০-৫০০০ টাকায়। তবে মেয়েদের জুতার দাম অতিরিক্ত বলে দাবি করছেন ক্রেতারা।
সাবিহা গুলশান নামে এক ক্রেতা জানান, এখানে হাজার-বারশ’র নিচে জুতা নেই। অথচ ভারত থেকে এসব জুতা আমি ৩০০-৪০০ বাংলাদেশি টাকায় কিনেছি। অযথাই এখানে বেশি দাম নেয়া হচ্ছে।
এদিকে লোকাল মার্কেটের পাশাপাশি এলিফেন্ট রোডের বাটায় ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাপ দেখা গেছে। এখানে সর্বনিম্ন ৫৯০ টাকার ক্যাজুয়াল স্লিপ সু পাওয়া যাচ্ছে। সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে অ্যাম্বাসেডর সু।
বাটায় মেয়েদের সর্বনিম্ন সাড়ে ৫শ’ টাকায় ফ্ল্যাট স্যান্ডেল এবং সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৯৯০ টাকায় হিলওয়ালা লেডিস ম্যারি ক্লোজড সু পাওয়া যাচ্ছে।
এআর/জেএইচ/জেআইএম