ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধি হবে প্রথম মিশন

প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ০২ আগস্ট ২০১৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাই হবে প্রথম মিশন। আগামী তিন বছরের মেয়াদকালে আউটডোরে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) দ্রুত চালু করা, কেবিন ব্লকে ওয়ার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্সসহ জনবল নিয়োগ ও হাসপাতালের সকল কার্যক্রম অটোমেশন পদ্ধতিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন। এছাড়াও প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বর্তমান ভিসিকে সার্বিক সহযোগিতা করাই হবে তার মূল কাজ।

রোববার রাষ্ট্রপতির আদেশে প্রো-ভিসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর জাগো নিউজকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ সব কথা বলেন। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসা শিক্ষা-১ শাখার উপ-সচিব রেহানা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিএসএমএমইউ’র চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২ আগস্ট বিএসএমএমইউ অ্যাক্ট ১৯৯৮ (১৯৯৮ সালের ১নং আইন) এর ১৫ (১) ধারার ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং প্রিভেনটিভ ও সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে আদেশ জারির তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন।

নবনিযুক্ত প্রো-ভিসির জীবনবৃত্তান্ত :

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ৭ অক্টোবর’ ১৯৫৬ সালে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার অন্তর্গত খায়েরহাট গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমেদ ও হোসনেয়ারা বেগম’র তৃতীয় সন্তান।

তিনি কৃতিত্বের সাথে ১৯৭২ সালে কাশিয়ানী জি সি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ১৯৭৪ সালে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং একই কলেজে সহকারী সার্জন সমমান পদে রেসিডেন্সি ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইপিজিএমআর থেকে চক্ষু বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এম এস ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৮২ সালের ১৪ জুন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী সার্জন পদে যোগদানের মাধ্যমে তিনি সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন। চাকরিকালীন সময়ে তিনি খুলনার কয়রা ও নরসিংদীর বেলাব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাবেক আইপিজিএমআর-এ চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার, আর এস ও সহকারী অধ্যাপক পদের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৮ সালে তৎকালীন আইপিজিএমআর -এর চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক থাকাকালীণ ‘আইপজিএমআর’ উন্নীত হয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)’ প্রতিষ্ঠিত হলে, তিনি বাংলাদেশের প্রথম স্বতন্ত্র পাবলিক মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে থেকে যান।

পরবর্তীতে তিনি চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন ও বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিটি অফথালমোলজি বিভাগ চালু হলে তিনি নব প্রতিষ্ঠিত বিভাগের চেয়্যারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, প্রিভেনটিভ ও সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন এবং সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর যাবৎ তিনি চিকিৎসা শিক্ষায় শিক্ষকতা করে এদেশের চিকিৎসা পেশায় দক্ষ চিকিৎসক তৈরিতে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পিএসসি’র একজন পরীক্ষক।

আর্ন্তজাতিকমানের, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মেডিকেল জার্নালে তার শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রকাশনা রয়েছে। দেশের অন্যতম চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন হিসেবে তিনি চোখের বিভিন্ন ধরনের প্রায় লক্ষাধিক সফল অস্ত্রোপচার করেছেন। চিকিৎসকের সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের হয়ে দেশের অনগ্রসরমান এলাকার হতদরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করেছেন যা এখনো অব্যাহত রেখেছেন।

এমইউ/এসএইচএস/এমআরআই